জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ حَيْثُ يُوضَعُ الْجَنَائِز وَرَسُول الله جَالِسٌ بَيْنَ ظَهْرَيْنَا فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَره قبل السَّمَاء فَنظر ثُمَّ طَأْطَأَ بَصَرَهُ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ قَالَ: «سُبْحَانَ الله سُبْحَانَ الله مَا نَزَلَ مِنَ التَّشْدِيدِ؟» قَالَ: فَسَكَتْنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا فَلَمْ نَرَ إِلَّا خَيْرًا حَتَّى أَصْبَحْنَا قَالَ مُحَمَّدٌ: فَسَأَلْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا التَّشْدِيدُ الَّذِي نَزَلَ؟ قَالَ: «فِي الدَّيْنِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ»
মুহাম্মাদ ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু জাহশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা মসজিদের সামনে খোলা জায়গায় বসাছিলাম, যেখানে জানাযা রাখা হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে বসে ছিলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আকাশের দিকে চোখ উঠিয়ে তাকালেন, অতঃপর দৃষ্টিকে অবনত করে কপালের উপর হাত রেখে বললেন, সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! কী কঠোরতম (আয়াত) অবতীর্ণ হলো!
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা একদিন একরাত নিশ্চুপই রইলাম; এ সময়ের মধ্যে সব ভালোই দেখলাম। মুহাম্মাদ বলেন, পরবর্তী দিন ভোর হলে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ঋণের বিষয়ে কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে। ঐ আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! কোনো লোক আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করেছে, আবার শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করেছে, আবার শহীদ হয়ে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং তার ওপর ঋণ থাকায় সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়।
(নাসায়ী ৪৬৮৪, আহমাদ ২২৪৯৩, সহীহ আল জামি‘ ৩৬০০, সহীহ আত্ তারগীব ১৮০৪,মিশকাত ২৯২৯)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের আত্মা তার ঋণের কারণে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে, অর্থাৎ জান্নাতে যেতে পারবে না, যতক্ষণ তার ঋণ পরিশোধ করা না হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৭৮; মুসনাদ আহমাদ)
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাওনাদার চাই মুসলিম হোক বা অমুসলিম হোক, যথাসম্ভব উক্ত পাওনাদারকে খুজে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।শত চেষ্টা করেও যদি না পাওয়া যায় তবে উক্ত টাকা কোনো গরীব/মিসকিন দেখে সদকাহ করে দিতে হবে।
হ্যাঁ, যদি পরবর্তীতে কখনো কোনো মাধ্যমে পাওনাদারকে খুজে পাওয়া যায়,তখন তার নিকট থেকে সদকাহ বিষয়ের সম্মতি/অনুমতি নিতে হবে,বা তার থেকে ক্ষমা করে নিতে হবে।নতুবা তার প্রাপ্য তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
(০২)
কারো গাছের ফল না বলে খেলে /কিংবা কারো সম্পদ না বলে খরচ করলে - তাকে না বলে এ সম্পদ /টাকা তাকে দিয়ে দিলে ঋণ আদায় হবে।
এমন পাওনাদার যদি জাকাত আদায় না করে তাহলে তাকে না বলে তার পক্ষ থেকে জাকাত আদায় করলে ঋণ আদায় হবেনা।
যদি টাকা দেয়ার কারণ বলতে লজ্জাবোধ হয় তাহলে গোপনে (বিকাশ ইত্যাদি মাধ্যমে) টাকা দেয়া যাবে।
যদি পাওনাদার মারা যায় তাহলে তার ছেলেকে মূল বিষয়টি না বলে এমনিতেই ঋনের বিষয় বলে টাকা দেওয়া যাবে।
এক্ষেত্রে সে যদি টাকা একাই খেয়ে ফেলে , তার অন্য ভাই বোন কে না দেয়,সেটি তার ব্যাপার।
এক্ষেত্রে আপনার কোনো দায়ভার নেই।
(০৩)
এক্ষেত্রে সরকারের তহবিলে টাকা জমা দিতে হবে।
সরকারের তহবিলে টাকা জমা দেওয়ার অনেক মাধ্যম রয়েছে।
আপনি ডাকটিকেট ক্রয় করে সেটাকে কোনো কাজে না লাগিয়ে নষ্ট করে দিতে পারেন।বা সোনালি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারেন।
প্রাইস বন্ড কিনে নষ্ট করে ফেললে সরকারি ঋণ আদায় হবেনা।