আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
প্রশ্ন করার পূর্বে মুফতি আলী হাসান ওসামা হাফিজাহুল্লাহ এর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া একটা লেখা আগে উল্লেখ করছি-
//রাসুলুল্লাহ সা. আরও বলেন,
الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ ، إِلَّا شَرْطًا حَرَّمَ حَلَالًا ، أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا
মুসলমানরা তাদের শর্তের ওপর থাকবে; তবে এমন শর্ত বাদে, যা কোনো বৈধ কাজকে নিষিদ্ধ করে দেয়, কিংবা কোনো নিষিদ্ধ কাজকে বৈধ করে দেয়। (তিরমিজি : ১৩৫২; আবু দাউদ : ৩৫৯৪)
সুতরাং কোনো নারী যদি বিয়েতে শর্তারোপ করে,
* আমাকে আমার বাবার বাড়িতেই রাখতে হবে;
* আমাকে আমার জেলাশহরেই রাখতে হবে;
* আমি জীবিত থাকাকালে আর কোনো মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না;
* বিয়ের পর আমাকে ডাক্তারি শেষ করাতে হবে কিংবা দীনি অথবা দুনিয়াবি অমুক পড়ালেখা করাতে হবে
এসব শর্ত বাতিল হয়ে যাবে এবং বিয়ে তার স্বাভাবিক অবস্থায় কার্যকর থাকবে। তো যেহেতু এই শর্তগুলো কার্যকরই হয়নি, তাই স্ত্রীপক্ষও স্বামীর ওপর এসব ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না। স্ত্রী যদি এখন স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি না নেয়, এমনকি তার তোয়াক্কা না করে স্বউদ্যোগে কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ির পরামর্শে তার শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে কিংবা বাবা-মা'র ভালোবাসায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে বা অন্য কোনো কারণে স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি ব্যতিরেকেই বাবার বাড়িতে থাকতে থাকে তাহলে সে-ও হবে (নাশিজা) অবাধ্য। নাশিজার বিধান তার ওপর পুরোপুরিই প্রযোজ্য হবে। এমন নারীর দুনিয়া-আখিরাত উভয়টাই ধ্বংসের মুখে।
অন্য কোনো নারীকে বিয়ে না করার শর্ত প্রসঙ্গে ইমাম সারাখসি রহ. তার আলমাবসুত গ্রন্থে বলেন,
والوفاء بهذا الشرط لا يلزمه, كما لو التزمه بنفسه
এই শর্ত মান্য করা তার ওপর আবশ্যক নয়। এমনকি সে নিজে নিজের ওপর আবশ্যক করে নিলেও তা আবশ্যক হবে না।//
আমার প্রশ্ন হচ্ছে-
১) উপরে যেসব শর্তকে বাতিল বলা হয়েছে, সেগুলো হানাফী ফিকহ অনুযায়ী আসলেই বাতিল কিনা? অর্থাৎ বিষয়টা কি এমন যে, জাওয এসব শর্ত পালন করতে বাধ্য না কিন্তু পালন করলে সেটা স্ত্রীর উপর ইহসান হিসেবে গণ্য হবে?
২) চার নম্বর পয়েন্টে দুনিয়াবী পড়ার অংশটুকু বুঝেছি। কিন্তু "দ্বীনি পড়ালেখা বলতে ফরজে আইন ইলমের অতিরিক্ত পড়ানোর শর্ত পালন করতে জাওয বাধ্য না" -এরকমটা বুঝানো হয়েছে কি?
.
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।