আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।

প্রশ্ন করার পূর্বে মুফতি আলী হাসান ওসামা হাফিজাহুল্লাহ এর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া একটা লেখা আগে উল্লেখ করছি-

//রাসুলুল্লাহ সা. আরও বলেন,

الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ ، إِلَّا شَرْطًا حَرَّمَ حَلَالًا ، أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا

মুসলমানরা তাদের শর্তের ওপর থাকবে; তবে এমন শর্ত বাদে, যা কোনো বৈধ কাজকে নিষিদ্ধ করে দেয়, কিংবা কোনো নিষিদ্ধ কাজকে বৈধ করে দেয়। (তিরমিজি : ১৩৫২; আবু দাউদ : ৩৫৯৪)

সুতরাং কোনো নারী যদি বিয়েতে শর্তারোপ করে,

* আমাকে আমার বাবার বাড়িতেই রাখতে হবে;

* আমাকে আমার জেলাশহরেই রাখতে হবে;

* আমি জীবিত থাকাকালে আর কোনো মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না;

* বিয়ের পর আমাকে ডাক্তারি শেষ করাতে হবে কিংবা দীনি অথবা দুনিয়াবি অমুক পড়ালেখা করাতে হবে

এসব শর্ত বাতিল হয়ে যাবে এবং বিয়ে তার স্বাভাবিক অবস্থায় কার্যকর থাকবে। তো যেহেতু এই শর্তগুলো কার্যকরই হয়নি, তাই স্ত্রীপক্ষও স্বামীর ওপর এসব ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না। স্ত্রী যদি এখন স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি না নেয়, এমনকি তার তোয়াক্কা না করে স্বউদ্যোগে কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ির পরামর্শে তার শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে কিংবা বাবা-মা'র ভালোবাসায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে বা অন্য কোনো কারণে স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি ব্যতিরেকেই বাবার বাড়িতে থাকতে থাকে তাহলে সে-ও হবে (নাশিজা) অবাধ্য। নাশিজার বিধান তার ওপর পুরোপুরিই প্রযোজ্য হবে। এমন নারীর দুনিয়া-আখিরাত উভয়টাই ধ্বংসের মুখে।

অন্য কোনো নারীকে বিয়ে না করার শর্ত প্রসঙ্গে ইমাম সারাখসি রহ. তার আলমাবসুত গ্রন্থে বলেন,

والوفاء بهذا الشرط لا يلزمه, كما لو التزمه بنفسه

এই শর্ত মান্য করা তার ওপর আবশ্যক নয়। এমনকি সে নিজে নিজের ওপর আবশ্যক করে নিলেও তা আবশ্যক হবে না।//
আমার প্রশ্ন হচ্ছে-

১) উপরে যেসব শর্তকে বাতিল বলা হয়েছে, সেগুলো হানাফী ফিকহ অনুযায়ী আসলেই বাতিল কিনা? অর্থাৎ বিষয়টা কি এমন যে, জাওয এসব শর্ত পালন করতে বাধ্য না কিন্তু পালন করলে সেটা স্ত্রীর উপর ইহসান হিসেবে গণ্য হবে?

২) চার নম্বর পয়েন্টে দুনিয়াবী পড়ার অংশটুকু বুঝেছি। কিন্তু "দ্বীনি পড়ালেখা বলতে ফরজে আইন ইলমের অতিরিক্ত পড়ানোর শর্ত পালন করতে জাওয বাধ্য না" -এরকমটা বুঝানো হয়েছে কি?

.

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ يَزِيْدُ بْنُ أَبِيْ حَبِيْبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَحَقُّ الشُّرُوطِ أَنْ تُوفُوْا بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفُرُوْجَ

‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, শর্তসমূহের মধ্যে যা পূর্ণ করার সর্বাধিক দাবী রাখে তা হল সেই শর্ত যার দ্বারা তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের হালাল করেছ। (বুখারী ৫১৫১) (মুসলিম ১৬/৭ হাঃ ১৪১৮, আহমাদ ১৭৩০৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৩৫)

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হ্যাঁ এগুলো শর্ত বাতিল বলে গন্য হবে।
বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
(শরহে বিকায়াহ ২য় খন্ড।)

(০২)
না।
বরং ফরজে আইন ইলম পরিমান পড়ানোর শর্ত পালন করতেও জাওয বাধ্য না।
কারনে এটা স্বামীর উপর আবশ্যক নয়।
এই দায়িত্ব স্ত্রীর বাবার উপর ছিলো।

স্ত্রী ফরজে আইন ইলম পরিমান অর্জন না করলে এর দায়ভার স্বামীর উপর বর্তাবেনা।
বরং স্ত্রী ও তার বাবার উপর বর্তাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...