আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। বাবা মা দুজনে বেচে আছেন, আমরা দুই ভাইবোন। আমি ছেলে সন্তান।আমার বাবা সরকারি চাকুরীজীবি ছিলেন। আমার এক মামার সন্তান নেই। মা প্রায় প্রায় আমাকে খোটা দিয়ে বলে আমাদের কোন সন্তান না থাকলে ভালো হইত, আমার এক ভাইয়ের সন্তান নাই, তার কি দিন যাচ্ছে না। সেতো ভালো আছে। এখন যদি আমি তাদের না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই, তাদের সাথে যোগাযোগ না রাখি তবে কি আমি দোষী হয়ে যাব আল্লাহর কাছে?
 আমার বয়স ৩০, অবিবাহিত। বিয়ের কথা যদি বাসায় বলি তবে বলে একাই একাই কর, আমার এখনো স্থায়ী কোন আয়ের ব্যবস্থা হয় নাই, বিভিন্ন ছোট ছোট আয়ের চেষ্টা করলেও বাসা থেকে অখুশি থাকে, যার কারনে করার আগ্রহ হারায় যায়। একা একা বিয়ের চেষ্টা করলেও বিশেষ কিছু হবেও না, এইদিকে প্রচুর ভাবে মাস্টারবের্ট আসক্ত, নিজেকে এ থেকে ছাড়ানো প্রচুর চেষ্টা করতেছি, চোখের হেফাজত করার চেষ্টা করছি, সাপ্তাহিক রোযা থাকার চেষ্টা করছি। তারপর নিজেকে বিরত রাখতে পারছি না, যদি এক দুই দিন বিরত থাকি তবে হয় স্বপ্নদোষ হয় না হলে প্রসাবের শেষে আসে দিনে দু একবার, স্বপ্নদোষ শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ হই, শরীর ব্যাথা হয় প্রচন্ড। আর মাস্টারবেট না করলে শরীরে অলসতা আসে। আবার এই মাস্টাবেটের কারনে আমল ও ইবাদাতেরও ক্ষতি হয়। এখন চিন্তা হয় বিয়ে করলে কি দ্বীনি আল্লাহ ভীরু কোন মেয়ে পাব, শারীরিক ভাবে কতটুকু সুস্থ আছি তাও জানিনা, মাস্টারবেট সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় তার থেকে লুকানোটা কি প্রতারণা হবে?? ক্লাস নাইন টেন থেকে এই মাস্টারবেট জড়িত, এর মাঝে মাঝে বিরত থাকার চেষ্টা করেই আসছি। ২০২২ সালে রমজান মাসে শেষ ১০ দিন এতেকাফ থাকা কালীন বুজতে পারি আমার প্রসাব করার শেষে বীর্য আসে, ঐ ১০ দিন মাস্টারবেশন থেকে বিরত ছিলাম।। সঠিক পরামর্শ চাচ্ছি??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেভাবেই হোক মাস্টারবেট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।  স্বপ্নদোষ হয় হোক,তবুও মাস্টারবেট করা যাবেনা।

বিবাহের জন্য মোহরানা জোগাড় ও স্ত্রীর ভরনপোষণ এর জন্য চাকুরী করুন।
বা বৈধ কোনো উপায়ে টাকা উপার্জন করুন।
স্ত্রীর জন্য মোহরানার ব্যবস্থা হলে বিবাহ করতে পারেন। বিবাহে অতিরিক্ত কোনো খরচ করবেননা।

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার বিস্তারিত আমল জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...