আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in সালাত(Prayer) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ,
১.আমি কোনো এক নামাযে সুরা আসর এর ২য় আয়াতটি ভুল পড়েছি(প্রবল ধারণা) কিন্তু এই বিষয় টি আমার মনে পড়ে ২/১ দিন পর, তাই কোন ওয়াক্তের নামাজে ভুল পড়েছি সেটা মনে করতে পারছিনা।এখন কীভাবে ওই স্বলাতের কাযা আদায় করব??আর কুরআনের আয়াত ভুল পড়ার কারনে কি আমার গুনাহ হবে বা ঈমান ভঙ্গ হতে পারে?যদিও অনিচ্ছাকৃত (সুরাটি আমার প্রোপারলি মশক করা ছিল প্রায়ই পড়ি)

২.আমার বিতর স্বলাতের শেষ রাকাতে ফজর আযান হয়ে যায় এতে কি স্বলাত হবে??আর যদি মাসে প্রায় ৫/৬ দিন এইরকম ঘটে তবে কি গুনাহ হবে?
৩.অযু করে এশার স্বলাত পড়ে কুরআন তিলাওয়াত এ বসেছিলাম তারপর কাপড়ে সাদাস্রাব দেখতে পাই যদিও টের পাইনি তা কখন নির্গত হয়েছে,এক্ষেত্রে কি অই স্বলাতের কায আদায় করার সময় সুন্নাতের ও কাযা আদায় করতে হবে? আর কাযা স্বলাত ত ওয়াক্তের নামাজের আগে আদায় করতে হউল্য, সারাদিন অফিসে থাকার দরুন আমি শুধু ওয়াক্ত এর স্বলাত টা আদায় করতে পারব কাযা আদায় করার সুযোগ নেই।তাই যদি বাসায় এসে এশার স্বলাত এর পূর্ব এ আদায় করেনি তাহলে কি হবে?আর অযু বিহীন অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত এর জন্য কি গুনাহ হবে??

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ভুলটি কি ছিলো,সেটি উল্লেখ করলে বলা যেতো যে সেই নামাজ কি হয়েছে? নাকি পুনরায় আদায় করতে হবে?

সুতরাং কমেন্ট বক্সে ভুলটি উল্লেখ করে দিলে ভালো হতো।

(০২)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-

وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الْأُفُقُ، وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ،

নিশ্চয় ইশার নামাযের সময় শুরু হয় পশ্চিমাকাশের শাদা আভা দূরিভূত হওয়া থেকে। আর শেষ সময় হল অর্ধেক রাত অতিক্রান্ত হলে। [মানে এটি মাকরূহ ছাড়া মুবাহ সময়, এরপরও সময় থাকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত, কিন্তু সেটি মাকরূহ ওয়াক্ত, তাই সময় শুধু অর্ধেক রাত পর্যন্ত বলা হয়েছে] 
{মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭১৭২, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৫১, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯৪১}

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُؤَخِّرُوا العِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ.

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, উম্মতের কষ্ট হওয়ার ভয় যদি আমার না হত তাহলে আমি তাদেরকে আদেশ করতাম, তারা যেন ইশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক পর্যন্ত বিলম্বিত করে। {সুনানে তিরমিজী-১/২৩, হাদীস নং-১৬৭}

عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ , أَنَّهُ قَالَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: مَا إِفْرَاطُ صَلَاةِ الْعِشَاءِ؟ قَالَ: «طُلُوعُ الْفَجْرِ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, ইশার নামাযের সময় কখন শেষ হয়? তখন তিনি বলেন, ফজরের সময় হলে। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯৫৯, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৭৬২}

فى رد المحتار- ( و ) وقت ( العشاء والوتر منه إلى الصبح و ) (رد المحتار-كتاب الصلاة ،-1/18)
সুবহে সাদিক পর্যন্ত ইশা আর বিতর নামাজের ওয়াক্ত থাকে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বিতর সালাত আদায় হয়নি।
এর কাজা আদায় করতে হবে।

এরকম আরো বিতর স্বলাত আদায় করে থাকলে সেগুলোরও কাজা আদায় করে নিতে হবে।

(০৩)
আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে নামাজের আগেই সাদা স্রাব এসেছে,সেক্ষেত্রে ফরজ ও সুন্নাত সহ এমতাবস্থায় আদায়কৃত সব নামাজ পুনরায় আদায় করে নিতে হবে। 

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে নামাজের পর সাদা স্রাব এসেছে,সেক্ষেত্রে কোনো নামাজই আর আদায় করে নিতে হবেনা।

আপনি যদ সাহেবে তারতিব হোন,অর্থাৎ আপনার জিম্মায় যদি ৬ ওয়াক্ত বা তার চেয়ে অধিকা নামাজ কাজা না থাকে,সেক্ষেত্রে আগে ফরজের কাজা আদায় করে ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে হবে।

আর যদি আপনি সাহেবে তারতিব না হোন,সেক্ষেত্রে বাসায় এসে সেই কাজা আদায় করে নিতে পারবেন।

★অযু বিহীন অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত এর জন্য গুনাহ হবেনা।
তবে এমতাবস্থায় কুরআন স্পর্শ করে থাকলে অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করার গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 99 views
...