আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,

সুন্নতে খাৎনা বিষয়ক কিছু জানার ছিল আমার। আমার জন্মগতভাবেই ফোরস্কিনের ৫ ভাগের ১ ভাগ ছিল, এজন্য কখনো আর খাৎনা করানোর প্রয়োজন হয়নি।
পরবর্তীতে বড় হতে হতে এখন ফোরস্কিন ও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। আমি সামনে সামনি খাৎনা করাতে দেখেছি অনেককে, ফোরস্কিনের প্রায় ২/৩ অংশ কেটে দিয়ে বাকিটা (১/৩) পিছনে উল্টিয়ে দিয়ে বেঁধে দেয়।
আর আমার এখন ফোরস্কিন বেড়ে যেয়ে ঠিক ওই ১/৩ অংশ পরিমানে আছে। অর্থাৎ কাটার মতো অংশ নেই তবে হাজামরা যেই অংশ উল্টিয়ে দেয়  শুধু ততটুক আছে কিন্তু ওল্টানো না। এখন গ্রোথের বয়স নেই আমার, মোটামুটি ৮ বছর পূর্বেই এই ১/৩ অংশে পৌঁছেছে, আর পরিবর্তন হয়নি। বয়স ২৫ এ পা দিয়েছি আমি।

প্রস্রাব এর ফোটা বা স্মেগমা জমে থাকা বিষয়ক সমস্যা হয়না একদমই, অর্থাৎ পবিত্রতা বিষয়ক সমস্যা নেই।  এবং উত্তেজিত অবস্থায় বোঝা যায়না খাৎনা করা হয়েছে নাকি করা হয়নি।
সহবাসে সমস্যা হয় কি না সেটা জানিনা, আমি বিয়ে করিনি। তবে হওয়ার কথা না কারণ যাদের করা হয়না তারাও তো ভালোভাবেই দাম্পত্য জীবন পার করতেছে।

অলরেডি মেয়ে খোজ করা হচ্ছে আমার জন্য। এখন কি করা উচিত আমার। যদি আমার জন্য এইটা করা বাধ্যতামূলক হয় তাহলে করে নিতে হবে আগেই, অন্যথায় বিয়ের পরে আর সম্ভব হবেনা।

1 Answer

+1 vote
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

খাতনা তথা মুসলমানী করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِينَ الْحَيَاءُ وَيُرْوَى الخِتَانُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি বিষয় নাবী-রসূলদের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত- (১) লজ্জাশীলতা, আর এক বর্ণনায় এর স্থলে খতনার কথা বলা হয়েছে; (২) সুগন্ধি ব্যবহার করা; (৩) মিসওয়াক করা এবং (৪) বিয়ে করা।
(তিরমিযী ১০৮০, ইরওয়া ৩৩।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " الْفِطْرَةُ خَمْسٌ : الْخِتَانُ ، وَالِاسْتِحْدَادُ ، وَقَصُّ الشَّارِبِ ، وَتَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ " .

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি জিনিস ফিতরাত- ১. খতনা করা, ২. নাভির নিম্নের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা, ৩. গোঁফ কাটা, ৪. নখ কাটা, ৫. বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা।

(বুখারী ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭; মুসলিম (২৫৭)-৪৯, আবূ দাঊদ ৪১৯৮, ইবনু মাজাহ ২৯২, নাসায়ী ৯, ইরওয়া ৭৩, তিরমিযী ২৭৫৬, আবূ দাঊদ ৪১৯৮, আল আদাবুল মুফরাদ ১২৯২, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭০৬, আল মু‘জামুল আত্তসাত্ব ৩৫৫, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৭৩, শু‘আবুল ঈমান ২৭৫৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৮০, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার ৩৪৩।)

বয়স্ক হওয়ার পর কেউ ইসলাম গ্রহণ করে তাহলেও তার খতনা করা জরুরি। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأُوَيْسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ أُمِرَ بِالِاخْتِتَانِ وَإِنْ كَانَ كَبِيرًا.

ইবনে শিহাব যুহরী রাহ. বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করত তখন সে বড় (বয়স্ক) হলেও তাকে খতনা করার আদেশ করা হত। -আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস : ১২৫২,(১২৬৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে এখন আপনার জন্য খাতনা করা ওয়াজিব বা বাধ্যতামূলক নয়।
আপনি বিবাহ করে নিতে পারেন।

(তবে পরবর্তীত যদি কোনো সময় আপনার লিঙ্গের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষদের লিঙ্গের মতো হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তখন খাতনা করাতে হবে।
নতুবা তখন গুনাহ হবে।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...