بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহকে তাঁর গুণবাচক নামে ডাকতে হবে। আল্লাহ বলেন,
وَ لِلّٰهِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی
فَادۡعُوۡهُ بِهَا ۪
‘আর আল্লাহর জন্য সুন্দর নাম সমূহ রয়েছে।
সেসব নামেই তোমরা তাঁকে ডাক (আ‘রাফ ৭/১৮০)।
তবে কেউ নিজ ভাষায় কুরআন বা হাদীছে বর্ণিত ছিফাতী
নামের সঠিক অর্থবোধক শব্দ যেমন প্রভু, প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি ব্যবহার
করলে তা জায়েয হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যেন তা আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কোন
অর্থে ব্যবহৃত না হয়। যেমন গড, ভগবান, ঈশ্বর ইত্যাদি (ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা, ৬/২৮১;)।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ তাআলাকে তার সিফাতী নাম আসমাউল হুসনা বলেই
ডাকা উচিত। এর সাথে অন্য ভাষায় কেবল এমন শব্দেই ডাকা যাবে যে শব্দ শুধু আল্লাহর জন্যই
খাস। অর্থাৎ শুধুই তাকেই ডাকা হয়। অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করা হয় না। সেই সাথে এ নাম অন্য
কোন ধর্মের প্রতীকও নয়।
রিজিকদাতা আল্লাহ, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, প্রতিপালক আল্লাহ এভাবে
বলাতে সমস্যা কেন থাকবে?
কারণ
এখানে মূলত ডাকা হচ্ছে আল্লাহকেই। আর আগে তার সিফাতকে সংযুক্ত করা হচ্ছে বাংলা ভাষায়।
আর এভাবে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট সিফাত ডাকাতে কোন সমস্যা নেই। সব সময় আরবীটাই বলতে
হবে বিষয়টা এমন নয়। তবে আরবীটা বলা উত্তম। তবে অন্য ভাষায়ও বলা যাবে, যা আল্লাহর জন্যই বিশেষায়িত।
শুধু তার জন্যই ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং Creator শব্দটি আপেক্ষিক অর্থে পূর্বে কন্টেন্ট
বা এজাতীয় যেই বস্তু যা প্রস্তুত বা তৈরী করেছে তা উল্লেখ করে বলাতে কোন সমস্যা নেই। তবে আল্লাহ তায়ালার সমমান মনে করে কারো ক্ষেত্রে
উক্ত শব্দ ব্যবহার করা জায়েয নেই। এটি হারাম।
উল্লেখ্য যে, অনেকে নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করার জন্য আল্লাহ নাম লুকিয়ে অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার করেন, যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। অতএব উক্ত মানসিকতা থেকে এজাতীয় শব্দ ব্যবহার করা জায়েয হবে না।