আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (14 points)
আমি ২০২৪ সালের রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করব , ইনশাআল্লাহ।
তাই ইতিকাফের মাসআলা ও এর ফজিলত জানতে চাই
মাসআলা------------------
আমি জেনেছি - ইতেকাফে মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যাওয়া যায় না।
১.১ অনেকে বলে টয়লেটে গিয়ে ফিরে  আসার সময় (সাধারণ ) গোসল করে আসবে। শরীয়তে এর গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু ?
১.২ জুমু’আর দিন গোসল করা  জরুরি/ওয়াজিব - জুমু’আর দিন এই ওয়াজিব গোসল করলে কি ইতেকাফের সওয়াবের কমতি হবে কিনা?

রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির উপর প্রত্যেক সাত দিনে একদিন গোসল করা জরুরী এবং সেই দিনটি হল জুমু’আর দিন।
আন-নাসায়ী  ১৩৭৮ ১৩৭৯ ১৩৮০ ১৩৮১  সুনান ইবনু মাজাহ ১০৯৮  মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৩৯৮ সহীহ বুখারী (তা. পা.) ৮৭৭-৭৯, ৮৯৪, ৯১৯ সহীহ মুসলিম (হা. একাডেমী) ১৮৩৬
১৮৩৭ ১৮৩৮ ১৮৩৯  ১৮৪০ ১৮৪১ ১৮৪২ ১৮৪৩ ১৮৪৪ ১৮৪৫ ১৮৪৬
১৮৪৭ ১৮৪৮ ১৮৪৯   সুনান আত তিরমিজী (ই ফা) ৪৯২

২. যে মসজিদের বারান্দায়  ও নামাজ পড়া হয়, সেই বারান্দা কি মসজিদের অংশ?
উল্লেখ্য যে , আমাদের মসজিদের বারান্দা বর্ধিত করা হয়েছে। জুমু’আর দিন দিন মসজিদের বারান্দা মুসল্লিতে ভরপুর থাকে। তাছাড়া খালি থাকে।
--
৩.১ আমি সব সময় বাড়ি থেকে ওযু করে পবিত্র হয়ে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাই।
আমি ইতেকাফে থাকলে বাড়ি থেকে পবিত্র হয়ে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার বাড়তি সওয়াব পাবো কি? যেহেতু আমি প্রতিদিন এই আমল করি , ইতেকাফে  না থাকলে আমি অবশ্যই আমি তা করতাম
৩.২ আমি জুমু’আর দিন সবার আগে মসজিদে আসার চেষ্টা করি, কেননা -
প্রথমভাগে যে মসজিদে এলো, সে যেন একটি উট কুরবানী করল। এরপর পর্যায়ক্রমে গরু, ভেড়া, মুরগী,ডিম কুরবানীর সওয়াব পাওয়া যায়। সহীহ মুসলিম (হা. একাডেমী) ১৮৪৯, ১৮৬৯, সহীহ বুখারী (তা পা)| হাদিস:৮৮১

এই হাদিস এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
সূর্য উদয়ের পর জুমুআর ওয়াক্ত শুরু হওয়া পর্যন্ত সময় কে ৫ ভাগে ভাগ করতে করতে হবে।  ১ম ভাগে যে আসলো সে উট কুরবানীর সওয়াব পাবে ?
নাকি যেকোনো সময় সবার আগে আসলেই হবে ?

আমি /আমরা যেহেতু আগে থেকে মসজিদে অবস্থান করবো , সেহেতু আমি/আমরা ১ম সওয়াব পাবো কিনা। যেহেতু আমি জুমু’আর দিন সবার আগে মসজিদে আসার চেষ্টা করি।
৩.৩ রাসূল (স) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে ফজরের সালাত আদায় করে সূর্যোদয় পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর যিকর করবে এবং এরপর দু’রাকআত সালাত আদায় করবে, ঐ ব্যক্তির জন্য হজ্জ ও উমরার পরিপূর্ণ সওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সওয়াব হবে।    তিরমিযী ৫৮৬, সহীহ আত্ তারগীব ৪৬৪, মিশকাত ৯৭১

ইতিকাফে থাকাকালীন সালাতের জায়গা থেকে সরে গিয়ে জিকির করলে হব কি ? কুরআন তিলাওয়াত কি জিকির এর অন্তুর্ভুক্ত নয় ? সালাত শেষে ইতেকাফের জন্য যে বিছানা করা হয় সেই বিছানায় গিয়ে জিকির করলে কি হবে কি ? উল্লেখ্য যে সালাতের  সময়  বিছানা গুছিয়ে রাখা হয়/হবে।
সূর্য উদয়ের সময় থেকে কতক্ষণ পর এই নামাজ পড়তে হবে ?

৩.৪ যে ব্যক্তি চাশতের সালাত আদায় করার জন্য (মসজিদ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ) বের হবে, সে একজন ’উমরাহকারীর সমান সাওয়াব পাবে।
চাশতের সালাত সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত।
ইতিকাফে থাকাকালীন এই সালাত পড়লে উমরাহকারীর সমান সাওয়াব পাওয়া যাবে ?

৪. ইতিকাফে থাকাকালীন মসজিদের ভিতরে কেউ দুনিয়াবী কথা বার্তা জিজ্ঞেস করতে উত্তর দেয়া যাবে কিনা ?

৫. আমি IOM ২৪১১ ব্যাচ এর ছাত্র। ইতেকাফে থাকাকালীন আমার সাথে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট এক্সেস থাকবে।
ল্যাপটপ এ আমি কোন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকবো।
৬. আমি একজন ফ্রীল্যান্সার। আমার কাজ হালাল এবং যারা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যারা হালাল কাজ করে তাদের কাজ এর অর্ডার নেই।
ইতিকাফে থাকাকালীন আমি কাজ না নেওয়ার চেষ্টা করবো।
কিন্তু কেউ যদি কাজের জন্য মেসেজ দেয় তাহলে তাকে রিপ্লায় দিতে হবে , এবং আমাকে না জানিয়ে কাজ এর অর্ডার দিয়ে দিলে আমার জন্য কাজ করা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
অন্যথায় আমার লেভেল /পদবি নিচে নেবে যাবে এবং কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার গ্রহণ যোগ্যতা কমে যাবে।
এক্ষেত্রে আমার করণীয় ?
৭. আমার নাকে একটি সমস্যা আছে। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট হয়।  এজন্য নাকে ড্রপ দিতে হয়। দিনে ২/৩ বার ২/৩ ফোঁটা করে দিতে হতে পারে। যেহেতু নাক বন্ধ হয়ে গেলে  দেই , তাই গলার ভিতরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
যদি অসর্তকতাবশত যায় , তাহলে আমার  কি রোজা হবে না?
রোজা ছাড়া তো ইতেকাফ হয় না।
----ইতেকাফের ফজিলত ----
ইতেকাফ করলে  লাইলাতুল ক্বদর পাওয়া যায়।  
এই রাতে সওয়াবের আশায় ইবাদত  করলে পিছনের সমস্ত গোনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে/করে দিবেন,  ইনশাআল্লাহ।
ইতেকাফের আর কি কি ফজিলত আছে ?

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ইতিকাফ অবস্থায় আবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন প্রয়োজনে বের হওয়া যাবে না। যদি কেউ আবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন কারণে মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে।
আবশ্যকীয় প্রয়োজনের মাঝে শামিল হল পেশাব পায়খানা করা, ফরজ গোসলের জন্য বের হওয়া, যদি বাসা থেকে খানা আনার কেউ না থাকে, তাহলে বাসা থেকে গিয়ে খানা খেয়ে আসা বা খানা নিয়ে আসা ইত্যাদি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا – زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَتْ: وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ، فَأُرَجِّلُهُ، وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ البَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا»

আম্মাজান আয়শা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ মসজিদে থাকা অবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন, তখন [প্রাকৃতিক] প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না। {বুখারী, হাদীস নং-২০২৯, ১৯২৫, ১৯০২}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইতেকাফ অবস্থায় প্রতিদিনের/জুম'আর গোসল করা এটি শরীয়তের দৃষ্টিতে আবশ্যকীয় প্রয়োজনের মাঝে শামিল নয়। তাই এই গোসলের জন্য ইতেকাফের স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। যদি কেউ বের হয়, তাহলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে।

হ্যাঁ, মুফতীয়ানে কেরাম একটি সূরত বলেছেন, সেটি হল এই যে, গোসল খানায় আগে থেকে কাউকে দিয়ে পানি ভরে রাখবে, তারপর ইস্তিঞ্জার জন্য বের হবে, ইস্তিঞ্জা শেষ করে অজু করার সময় দ্রুত গায়ে কিছু পানি ঢেলে চলে আসবে। এতে করে ইতিকাফ ভাঙ্গবে না। তবে গোসল করতে গিয়ে দেরী করবে না।
,
আরো জানুনঃ

(০২)
ইতেকাফে মসজিদের বারান্দা মসজিদের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।

যদি উক্ত বারান্দা মূল মসজিদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ধর্তব্য হয়। অর্থাৎ মসজিদ নির্মাণের সময় বারান্দাটিও মসজিদ হিসেবেই নির্মিত হয়েছিল। তাহলে উক্ত বারান্দায় ইতিকাফকারী আসতে কোন সমস্যা নেই।

(৩.১)
আপনি সেই আমলের ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

(৩.২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَقَفَتِ الْمَلَائِكَةُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ يَكْتُبُونَ الْأَوَّلَ فَالْأَوَّلَ وَمَثَلُ الْمُهَجِّرِ كَمَثَلِ الَّذِي يُهْدِي بَدَنَةً ثُمَّ كَالَّذِي يُهْدِي بَقَرَةً ثُمَّ كَبْشًا ثُمَّ دَجَاجَةً ثُمَّ بَيْضَةً فَإِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ طَوَوْا صُحُفَهُمْ ويستمعون الذّكر»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জুমু’আর দিন মালায়িকাহ্ (ফেরেশতারা) মসজিদের দরজায় এসে দাঁড়িয়ে যান। যে ব্যক্তি মসজিদে প্রথমে আসে তার নাম লিখেন। এরপর তার পরের ব্যক্তির নাম লিখেন। (অতঃপর তিনি বলেন,) যে ব্যক্তি মসজিদে প্রথমে যান তার দৃষ্টান্ত হলো, যে মক্কায় কুরবানী দেবার জন্য একটি উট পাঠায়। তারপর যে ব্যক্তি জুমু’আর সালাতে আসে তার দৃষ্টান্ত হলো, যে একটি গরু পাঠায়। তারপর যে লোক জুমু’আর জন্য মসজিদে আসে তার উপমা হলো, যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্য মক্কায় একটি দুম্বা পাঠায়। তারপর যে ব্যক্তি জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার জন্য মসজিদে আসে তার উদাহরণ হলো, যে কুরবানী করার জন্য মক্কায় একটি মুরগী পাঠায়। তারপর যে ব্যক্তি জুমু’আর জন্য মসজিদে আসে তার উপমা হলো, যে একটি ডিম পাঠায়। আর ইমাম খুতবাহ্ দেবার জন্য বের হলে তারা তাদের দপ্তর গুটিয়ে খুতবাহ্ শোনেন।

(বুখারী ৯২৯, মুসলিম ৮৫০, আহমাদ ১০৫৬৮, শারহু মা‘আনির আসার ৬২৪১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৬২।)

হাদীসটির ব্যাখ্যা: (إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَقَفَتِ الْمَلَائِكَةُ) তারা ক্রোধান্বিত বা বিদ্বেষী নয়, যেমন এটার উপর فضل التبكير বা জুমু‘আর দিনে মসজিদে সকাল সকাল আগমনের ফাযীলাতের ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসগুলো প্রমাণ করে এবং এর অর্থ হলো নিশ্চয় তারা (ফেরেশতাগণ) ফাজ্র (ফজর) উদিত হওয়া থেকে অবস্থান করে এবং তা শার‘ঈভাবে দিনের প্রথম, অথবা সূর্য উদিত হওয়া থেকে অবস্থান করে এবং সেটা বাস্তবিকভাবে দিনের প্রথম, অথবা দিনের আলো উজ্জ্বল হওয়া (সালাতুয্ যুহার সময়) থেকে অবস্থান করে। মুল্লা ক্বারী (রহঃ) বলেন যে, এটাই অধিক নিকটবর্তী এবং এ মতকেই শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী (রহঃ) প্রাধান্য দিয়েছেন এবং প্রথমটি (ফেরেশতাগণ ফাজ্র (ফজর) উদিত হওয়া থেকে জুমু‘আর দিনে অবস্থান করে) ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর বক্তব্য।

ইমাম নাবাবী ও রাফি‘ঈ (রহঃ) এবং অন্যান্য জন এ মতকে সঠিক বলেছেন এবং দ্বিতীয়টিতেও (সূর্য উদিত হওয়া থেকে অবস্থান করে) শাফি‘ঈ মাযহাবীদের মত রয়েছে। মির‘আত প্রণেতার মতে তৃতীয়টিই উত্তম। সহীহ ইবনু খুযায়মায় রয়েছে যে, মসজিদের প্রতিটি দরজায় দু’জন করে মালাক (ফেরেশতা) থাকে তারা প্রথম ব্যক্তি সম্পর্কে লিখে, অতঃপর প্রথম। বুখারী মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, ‘‘জুমু‘আর দিনে মসজিদের প্রতিটি দরজায় মালায়িকাহ্ অবস্থান করে।’’

মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে যে, মসজিদের প্রতিটি দরজা মালাক (ফেরেশতা) অবস্থান করে এবং লিখে।

যখন ইমাম খুতবাহ্ দানের উদ্দেশে মিম্বারে উঠেন তখন মালায়িকাহ সেই সহীফাহসমূহ বন্ধ করে দেন যাতে তারা অগ্রগামীদের মর্যাদা লিপিবদ্ধ করেছে। হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে সহীফাহ্ সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। আবূ নু‘আয়ম তার ‘হিল্ইয়াহ্’ নামক গ্রন্থে মারফূ' সানাদে বর্ণনা করেছেন, জুমু‘আর দিনে আল্লাহ তা‘আলা মালায়িকাহ্-কে নূরের সহীফাহ্ ও নূরের কলম দিয়ে পাঠান। এখানে সহীফাহ্ বন্ধ করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জুমু‘আর দিনে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তাদের সহীফাহগুলো বন্ধ করা হওয়া খুতবাহ্ শ্রবণের নিমিত্তে, অন্যদের নয়।

সুতরাং জুমু‘আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পাওয়া, যিকর, দু‘আ ও সালাতে বিনয়-নম্রতা আরও অনুরূপ ‘আমলগুলো দু’জন সংরক্ষক তা লিপিবদ্ধ করবে।

(يَسْتَمِعُوْنَ الذِّكْرَ) এ বাক্যে যিকর বলতে খুতবাহ্ উদ্দেশ্য। আল্লামা ‘আয়নী ও হাফিয (রহঃ) বলেন যে, যিকর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো খুতবায় যে নাসীহাত করা হয় তাই।

আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ নিশ্চয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবহিত করেছেন যে, নিশ্চয় মালায়িকাহ্ যে, প্রথম সময়ে আসে তাকে লিপিবদ্ধ করে এবং সে উট কুরবানীর সাওয়াব পাবে। তারপরে দ্বিতীয়জনকে লিপিবদ্ধ করে। তারপর তৃতীয়, তারপর চতুর্থ, তারপর পঞ্চমে যে আসে তাকে লিপিবদ্ধ করেন এবং যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হন তখন সহীফাহ্ বন্ধ করে। এরপর আর কাউকেই লিপিবদ্ধ করেন না।

উল্লেখ্য যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আয় বের হতেন সূর্য ঢলে যাওয়ার পর। সুতরাং প্রমাণিত হয়, যে ব্যক্তি সূর্য ঢলার পর জুমু‘আয় আসতে পারবে তার জন্য কোন কুরবানী ও শ্রেষ্ঠত্বের ফাযীলাত নেই।

(৩.৪)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
উত্তর দিলে ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে প্রয়োজন ছাড়া দুনিয়াবি কথা না বলাই উত্তম। 

(০৫)
প্রানীর ছবি,মিউজিক আছে,এমন সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

(০৬)
হ্যাঁ, আপনি মসজিদে উক্ত কাজ করতে পারবেন।

(০৭)
যদি অসর্তকতাবশত যায় , তাহলে আপনার  রোজা ভেঙ্গে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
কেউ ইতেকাফে আছে এমন কারো যদি খাবার আনার জন্য কেউ না থাকে তাহলে কি সে বাড়ি থেকে খাবার আনতে পারবে কিংবা খেয়ে আসতে পারবে? 
by (573,870 points)
+1
সে বাড়ি থেকে খাবার আনতে পারবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...