আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by

আস্সালামুআলাইকুম হুজুর ,,

একজন ছেলে আমার থেকে ১৫ বছরের বড় হবেন ,তবে অনুমান করা যায়না ,দেখে খুবই কম বয়স মনেহয়,তারা অনেক প্রভাবশালী এবং অনেক সম্পদের অধিকারী,সে একজন softwere ইঞ্জিনিয়ার,,অনেক রূপবানও,তার কোনো হারাম সম্পর্ক ছিলোনা ,কেননা সে সর্বদা সফলতার পিছনেই ছুতে চলেছে ,তাই সেগুলোর সময় পায়নি,,এখন সে অনেক বড় একটা কোম্পানির মালিক,এবং বছরে কয়েকবার দেশের বাহিরে বিভিন্ন দেশে যান,হজ ও করেছেন ,,,তবে তিনি দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত ,,তার সব কিছুই আমাকে অত্যন্ত আকৃষ্ট করেছিল ,কিন্তু সে দ্বীনের প্রতি উদাসীন,,,প্রতিদিন মিটিং চলাকালীন আজান দিলেও তার সালাত আদায়ের খবর নেই। ...এরকম বেক্তিকে বিয়ে করা কি কি ঠিক হবে !? এটাওকি আমার জন্য পরীক্ষা !? দিনকে আগে অগ্রাধিকার দেওয়ার বেপারে !?

 

আমি যখন ক্লাস ৪ এ পড়ি তখন থেকেই উনি আমাকে চিনেন ,,উনি আমার বাবাকে ভাই বলে ডাকতেন ,তাই আমি আঙ্কেল বলতাম ,আমাকে উনি অনেক ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন ,,আর আমিও,,আমার তো তখন দিনের বুঝ ছিলোনা ,,উনি আমাকে অনেক কার্টুন দেখাতেন,,অনেক আদর করতেন ,,কিন্তু এখন আমার বয়স ২০ ,,,আমার ছোটবেলা থেকেই তাকে খুব ভালো লাগতো ,তার অসাধারণ পার্সোনালিটি আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করতো/করে ,,,কিন্তু আমি জানি আমার সব পাওয়াই যে ক্ষণস্থায়ী,,আমার কি সেই ছেলের সাথে বিবাহ করা ঠিক হবে !? সে তো দ্বীনদার না!!

 

আর যদি তাকে বিবাহ করা উচিত না হয় ,,তবে আমি কি করলে আমার অন্তর থেকে তারপ্রতি ভালোলাগাটা দূর করতে পারবো হুজুর !?

 

)হুজুর এই জীবনে সব পেলেও তো ক্ষণস্থায়ী,,আমি মৃত্যুর পর যদি বেহেস্তে আল্লাহর কাছে আমার মনে মতো স্বামী চাই ,,যেরকমটা আমি কল্পনা করি ,,আল্লাহ কি আমাকে মৃত্যুর পরে তেমন স্বামী জান্নাতে দিবেন !?

 

)হুজুর আরেকটা প্রশ্ন,,প্রশ্নটা লাগছে তবুও করছি ! হুজুর মেয়েদের হস্তমৌথুন সম্পর্কে আমি শুনেছিলাম,,কিন্তু আমি কখনো এমন করিনি ,,তবে মাঝে মাঝে আমি যখন ৯ এ পড়তাম তখন প্রসবের চাপ আসলে বাথরুমে যেয়ে প্রস্রাব করতে বসে বাং হাত দিয়ে চেপে ধরে ,থাকতাম প্রস্রাব হতে দিতামনা ,,যখন আর সহ করতে পারতামনা তখন ছেড়ে দিতাম ,,,এভাবে আমার একটু যৌন কোনো অনুভূতি হতো এমন লাগতো ,,কিন্তু এভাবে আঙ্গুল দিয়ে পস্রাব চেপে ধরে অনেক্ষন জাবত রেখে তারপর চারটা ,,আমার নেশার মতো হয়ে গিয়েছিলো ,,আমি চাইলেও পারছিলামনা ইটা ছাড়তে,,পস্রাব আটকের রাখলেতো কিডনির সমস্যা হয় এটা জেনেও আমি এমনটা করতাম ,,,তারপর সারাদিন রাট আমার খুবই দুর্বল লাগতো আর সারাদিন ঘুম পেট ,সারাদিন ঘুমাতাম ,,আবার একই কাজ করতাম ,,,এখনো মাঝে মাঝে এমন করতে ইচ্ছে করে ,,,হুজুর এটাকি হস্তমৌথুনের শাস্তি হবে !?

হুজুর আমি ইটা করতে চাইনা ,তাহলে কি কোনো জ্বীন আমাকে জোর করে করায় !? আমিযে এভাবে নিজের ক্ষতি করছি ,,,এর জন্য কি আলাদা কোনো শাস্তিও পেতে হবে !?

 

)হুজুর ঠোঁটের চামড়া ছিঁড়ে চিরে উঠিয়ে ফেলা আমার একটা বাজে অভ্যাস ,,অনেক সময় রক্তও বেরিয়ে যায় ,,নিজেকে এভাবে কষ্ট দেওয়া ,,বা নিজের এমন ক্ষতি করার জন্যেও কি শাস্তি হবে !?

)হুজুর অবাঞ্চিত চুল গুলো কতদিনের মধ্যে কাটা ফরজ !? এগুলো থাকা অবস্থায় কি সালাত হবেনা !? আর কতটুকু বড় হলে কাটা ফরজ ?

 

5)হুজুর,, দুনিয়ার সব কাজেই আমার অলসতা অনুভূত হয়,,একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত ছাড়া সব কিছু অর্থহীন ,মনেহয় ,তাই সব কাজ বাদ দিয়ে দিতে ইচ্ছে করে,মনেহয় কি লাভ এতকিছু করে,পড়াশুনো ,জব ,এগুলো করে ,মরেই তো যাবো একদিন ! হুজুর এটা ঠিক করার কি উপায় আছে !?

 

6)হুজুর কুরআনের সবগুলো সূরা মুখস্ত করতে পারলে কি আমি হাফেজ হতে পারবো !? সবগুলো সূরা মুখস্ত হওয়া মানেই কি হাফেজ ?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
রাসুলুল্লাহ সাঃ উক্ত হাদীসে বলেছেনঃ
তোমরা ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। 

সুতরাং ধর্মভীরু পাত্রের সাথে বিবাহ হলে আশা করা যায় দুনিয়াতেও কামিয়াব,আখেরাতেও কামিয়াব,ইনশাআল্লাহ। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি নিয়মিত নামাজ পড়ে কিনা? তার দাড়ি আছে কিনা?

যদি সে নিয়মিত নামাজ পড়ে,রমজান মাসে রোযা রাখে,দাড়ি রাখে,গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে চলে,সেক্ষেত্রে সে দ্বীনদার।
তাকে বিবাহ করতে কোনো সমস্যা নেই।

আর যদি নিয়মিত নামাজ না পড়ে,দাড়ি না রাখে,সেক্ষেত্রে আপনার পূর্ণ পর্দার নিশ্চয়তা দিতে পারলে তাকে বিবাহ করতে পারবেন,  এক্ষেত্রে বিবাহের পর নামার,দাড়ির বিষয় হিকমতের সহিত তাকে বুঝাবেন।
ইনশাআল্লাহ সফলতা মিলবে।

তারপরেও ইস্তেখারা করার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
জান্নাতে যাওয়ার পর আপনার স্বামীও যদি জান্নাতী হয়,সেক্ষেত্রে তাকে আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের মতো বানিয়ে দিবেন।

সেই সময়ে তাকেই আপনার সব চেয়ে বেশি ভালো লাগবে,অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করতে আকাঙ্খাই হবেনা।

(০৩)
এটা হস্তমৈথুন নয়।
তবে এর দরুন আপনার ক্ষতি হবে।
যদি আসলেই এতে আপনার শরীরের ক্ষতি হয়,সেক্ষেত্রে এটির দরুন গুনাহ হবে।

(০৩)
নিজেকে এভাবে কষ্ট দেওয়া,বা নিজের এমন ক্ষতি করা জায়েজ হবেনা 
তওবা না করলে এর জন্য শাস্তি হবে।

(০৪)
অবাঞ্চিত লোমের ক্ষেত্রে উত্তম হলো প্রতি জুমআয় (প্রতি শুক্রবারে) পরিস্কার করা,প্রত্যেক পনের দিন পর পরেও পরিস্কার করা জায়েজ আছে,তবে চল্লিশ দিন অতিক্রম করলে মাকরুহ হবে। 

এগুলো থাকা অবস্থায় সালাত হবে।
এগুলো নাপাক কিছু নয়। 

"কতটুকু বড় হলে কাটতে হবে"
এটি কোনো বিষয় নয়।
এখানে হিসাব হবে দিন দিয়ে। 
বড় ছোট দিয়ে হিসাব হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
ইবাদত সঠিক ভাবে আদায়ের জন্য রিযিক সহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রয়োজন, তাই দুনিয়ার জন্যেও শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।

এই বিষয়টি মনের মধ্যে বসাতে হবে।

(০৬)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে আপনি হাফেজ হতে পারবেন।

কুরআনের সবগুলো সূরা মুখস্ত হওয়া মানেই কুরআনের হাফেজ।

আর যদি কয়েকটি সুরা বা কয়েক পাড়া মুখস্থ হয়,সেক্ষেত্রে সেই কয়টি সুরা বা সে কয়টি পাড়ার হাফেজ বলা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...