আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
Question  1. As salamu  alaikum, ami ekjon meye .amar chul nosto Howar karon e ami chul katte chaitesi ekhon parlour  e chul Katle parlour  auntychul rekhe de ekhon ete ki amar gunah hobe?ei chul jodi Tara sell kore amar ki gunah hobe?

Question  2. Amar pore jawa chul gulo ami baire na fele jomiechi vara basai thakar karon e chul gula mati te chapa die rakte parchi na.ei obosthai eto chul gulo ki korte hobe?amar ek bag chul Joma hoise

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
মেয়েদের চুল লম্বা রাখতে হবে,শরয়ী নীতিমালার বাহিরে কেটে ছোট করা যাবেনা।  
মেয়েদের জন্য চুল মুণ্ডন করা বা কেটে ছেলেদের মতো করে ফেলা নিষেধ। আবার এতো বড় রাখা উচিত নয় যে, গোছলের সময় পানি পৌঁছানো কষ্টকর হয়। বরং পিঠ বা কোমর পর্যন্ত রাখা ভালো। সেমতে কোমরের নিচের অংশ কেটে ফেলা জায়েয হবে। অবশ্য না কাটলেও কোনো সমস্যা নেই।

মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হল : 
১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রাযি. চুল লম্বা রাখতেন। 
২. এ পরিমাণ ছোট করবে না যে, পুরুষের চুল (সুন্নতি বাবরি) এর  মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। 

ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ لَعَنَ الْمُخَنَّثِينَ مِنْ الرِّجَالِ، وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنْ النِّسَاءِ ، وَقَالَ: أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ
রাসূলুল্লাহ ﷺ ওই পুরুষদের লানত করেছেন, যারা মহিলাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে। এবং ওই মহিলাদের লানত করেছেন, যারা পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে৷ এবং তিনি আরও বলেন, তাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও। (বুখারী ৫৮৮৫)

৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। 

ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
 مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। (আবু দাউদ ৪০৩১)

মহিলাদের শুধুমাত্র মাথার কিছু অংশের চুল ছোট করা, যেমন সামনের চুল ছোট করা এবং অন্যগুলো রেখে দেওয়া– এটি ‘কুযা’ এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
যাহা নাজায়েজ।  
,
সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমর রাযি. থেকে সাব্যস্ত হাদীসে এসেছে যে, তিনি বলেন, نهى رسول الله ﷺ عن القزع রাসূলুল্লাহ্ ﷺ ‘কুযা’ করা থেকে তথা শিশুর মাথার একাংশের চুল কামাই করে অপর অংশের চুল রেখে দিতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ৫৯২১ মুসলিম ২১২০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মহিলাদের চুলের ঐ পরিমাণ অংশ যাহা কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না,বিশেষ প্রয়োজনে তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। 

তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি।
কারন এভাবে চুল কাটা বেদ্বীন ও বিধর্মীদের বৈশিষ্ট্য; কোন রুচিশীল, সুষ্ঠ চরিত্রের মানুষের বৈশিষ্ট্য নয়। তাই কোন মুসলামানের এ শ্রেণীর লোকেদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করা উচিত নয়।

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। 

আরো জানুন

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার চুল কাটা যদি অতিব জরুরী হয়,ইহা ছাড়া যদি আর কোনো উপায় না থাকে,সেক্ষেত্রে উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে আপনি চুল খাটো করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে পার্লার কর্তৃপক্ষ যেহেতু সেই কর্তিত চুল বিক্রয় করে দেয়,সুতরাং সেখানে পার্লার চুল রেখে আসা যাওয়া জায়েজ হবেনা।
রেখে আসলে এতে আপনারও গুনাহ হবে।

বিষয়টি বাধ্যতামূলক মূলক হলে পার্লারে চুল কাটবেননা,বাসাতেই কাহারো মাধ্যমে চুল কেটে নিবেন।

(০২)
ঝড়ে পড়া চুল মাটিতে দাফন করে দিতে হবে,বা কোনো কাপড় বা ব্যাগে করে দূরে কোথাও নিক্ষেপ করতে হবে,যাতে কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ এর নজর যেনো উক্ত চুলের দিকে না পড়ে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...