জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ
الرَّجُلُ أُمَّهُ
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুদ (পাপের দিক থেকে) ৭০ প্রকার। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট (পাপের) সুদ হল মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করা! (অর্থাৎ সুদ খাওয়ার গোনাহ মায়ের সাথে ব্যভিচার করার চেয়ে ৭০ গুণ বেশী।)
(ইবনে মাজাহ ২২৭৪ , হাকেম ২/৩৭, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৫৫২০-৫৫২২, ইবনে আবী শাইবাহ ২২০০৫, সহীহ তারগীব ১৮৫৮)
অপর হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً
জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমাদ ২১৪৫০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে উভয়টিই কবিরা গুনাহ।
সুদের গুনাহ যেনার চেয়ে মারাত্মক বলতে এখানে যেনার থেকে বেশি গুনাহ উদ্দেশ্য নয়।
বরং এখানে উদ্দেশ্য হলোঃ
মানুষ যেমন যেনাকে অনেক মারাত্মক গুনাহ বলে মনে করে,সুদকেও যেনো মানুষ মারাত্মক গুনাহ বলে মনে করে ছেড়ে দেয়,এই জন্যই সাদৃশ্যতা দেয়া হয়েছে।
এটি কোনো ভাবেই নয় যে যেনা থেকেও সুদ বড় গুনাহ,বা যেনার গুনাহ সুদ থেকে কম।
এগুলো উদ্দেশ্য নয়।
,
এখানে মানুষকে সূদের ভয়াবহতা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুদ খেলে তাদের জন্য হুরমত সাব্যস্ত হচ্ছে না। এখানে গুনাহের সাদৃশ্যতা দেয়া হয়েছে,বাস্তবিক গুনাহ উদ্দেশ্য নয়। বাস্তবে স্বশরীরে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হওয়ার শর্তাবলী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।
(০২)
এতে যেনার গুনাহ হবে।
যেনার শাস্তি অর্থাৎ প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি কার্যকর হবে।
(ইসলামের এই শাস্তি কোনো অংশেই হালকা নয়।)
(০৩)
সেক্ষেত্রে সে নারীদের নিয়ে অশ্লিল কল্পনা ও শুধুই হস্তমৈথূন করার পাপ করছে।
(০৪)
শরীয়তের বিধানের উপর প্রশ্ন করা হতে বিরত থাকার পরামর্শ থাকবে।
আমাদের সীমাবদ্ধ ব্রেন শক্তি দিয়ে শরীয়তের বিধান ও তার রহস্য বুঝা সব সময় সম্ভব নয়।
(০৫)
যে পুরুষ মাহরাম নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করবে সে নারী একটা বৈধ সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওই পুরুষের হয়ে যাবেনা।
এমনটি কোনো ভাবেই এখানে উদ্দেশ্য নয়।
মায়ের সাথে ছেলে যৌন সম্পর্ক করলে মা তার বাবার জন্য হারাম হয়ে যাবে।
এতে সেই মা তার ছেলের জন্য হয়ে যাবেনা।
মা ছেলে তো মাহরাম,তারা আবার একে অপরের কিভাবে হবে?
তাদের বাবা মার বৈবাহিক সম্পর্ক আজীবনের জন্য ছিন্ন হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে তারা অন্যত্রে বিবাহ করবে।
বাবা তার মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক
মা তার বাবার জন্য হারাম হয়ে যাবে।
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আজীবনের জন্য ছিন্ন হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে তারা অন্যত্রে বিবাহ করবে।
শ্বশুর তার পুত্রবধূর সাথে সম্পর্ক করলে ছেলের জন্য সে বউ হারাম।
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আজীবনের জন্য ছিন্ন হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে পুত্রবধূ অন্যত্রে বিবাহ করবে।