ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/46243/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
পেশাব-পায়খানার পর; পবিত্রতা অর্জন করার তিনটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম পদ্ধতি: শুধু ঢিলা/টিস্যু ব্যবহার
করা: এক্ষেত্রে তিনটি টিলা/কুলুফ ইউজ করা সুন্নাহ। এ বিষয়ে বহু হাদীস ও আছার বর্ণিত
হয়েছে।
قَدْ عَلّمَكُمْ نَبِيكُمْ كُلّ شَيْءٍ
حَتى الْخِرَاءَةَ قَالَ: فَقَالَ: أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلّ مِنْ ثَلَاثَةِ
أَحْجَارٍ
সালমান ফারসী রা.-কে বলা হল, তোমাদের নবী তোমাদের
সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন; এমনকি শৌচাগার ব্যবহারের পদ্ধতিও! আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রাহ.
বলেন, সালমান রা. বললেন, ‘হাঁ, অবশ্যই! তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, আমরা যেন ডান
হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি,
ইস্তিঞ্জার সময় তিন পাথরের কম ব্যবহার না করি ।’ সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত আমল ও বাণী
মুতাবেক অনেক সাহাবা ও তাবেয়ীনের আমল ছিল। তাঁরা পানি থাক বা না থাক শুধু ঢিলা দ্বারা
ইস্তিঞ্জা করতেন।
এ অনুযায়ীই উম্মাহর ইমামগণের ফতোয়া। সকল ইমামের মত হল, পানি থাকুক বা
নাই থাকুক সর্বাবস্থাই শুধু ঢিলা দ্বারা তাহারাত হাসিল করা জায়েয। আল ইসতিযকার ১/১৪৩
দ্বিতীয় পদ্ধতি: ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা। ঢিলা ব্যবহার করে পানি দ্বারা ধৌত করা
কুরআন-সুন্নাহ ও সালাফে সালেহীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত। কারণ, তাতে অধিক পরিচ্ছন্নতা
অর্জিত হয়। তবে এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা কখনোই ঠিক হবে না। যেমন, প্রস্রাবের পর
ঢিলা হাতে নিয়ে শৌচাগারের বাইরে চল্লিশ কদম দেওয়া, লেফট-রাইট করা, বার বার উঠা-বসা
করা, কেউ পানির পূর্বে ঢিলা ব্যবহার না করলে তাকে পশুর সাথে তুলনা
ও ঘৃণা করা কিংবা কটু বাক্য বলে তাকে জর্জরিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি।
তৃতীয় পদ্ধতি: পানি দ্বারা পবিত্রতা
অর্জন করা। কাযায়ে হাজতের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার বিষয়ে সাহাবা ও তাবেয়ীন-যুগে
দু-একজনের ভিন্নমত থাকলেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনো ইমামের মতবিরোধ নেই যে, কাযায়ে হাজতের
পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা যাবে; বরং উলামায়ে কেরাম বলেন, পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করাই উত্তম।
শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার ব্যাপারে আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ
رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
يَدْخُلُ الْخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ نَحْوِيْ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ
وَعَنَـزَةً، فَيَسْتَنْجِيْ بِالْمَاءِ
রাসূলুল্লাহ সা. পায়খানায় গেলে আমি এবং আমার সমবয়সী একটি ছেলে
এক লোটা পানি ও একটি হাতের লাঠি নিয়ে রাসুল সা. অপেক্ষায় থাকতাম। অতঃপর তিনি পানি দিয়ে
ইস্তিঞ্জা করতেন।” সহীহ বুখারী,
হাদীস নং ১৫০
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. উপরোক্ত নিয়মে পবিত্রতা
অর্জন করবেন।
২. জ্বী হবে। তবে একটু
ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করবেন।
৩. জ্বী হ্যাঁ, উক্ত কাপড়ে
নামাজ হবে ইনশাআল্লাহ। আরো জানুন- https://ifatwa.info/52485/
৪. ভালোভাবে মুছে ফেলবেন।
যাতে করে নাপাকির কোনো চিহ্ন না থাকে।