আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. খেলার সামগ্রী বিক্রি করা জায়েজ? যেমন: ক্রিকেট, ফুটবল,ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি খেলার সামগ্রী ও পোশাক (জার্সি,প্যান্ট) বিক্রি করা জায়েজ? অর্থাৎ খেলাঘরের ব্যবসা করা জায়েজ হবে?

২.নামাজে দরুদ শরীফ পড়ার সময় ভুলে যায় যে ১ম অংশটুকু শেষ করলাম(আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা) নাকি শেষেরটুকু(বারিক আলা) শেষ করলাম, তখন আবার আল্লাহুম্মা বারিক আলা থেকে পড়ি,এতে কি সমস্যা হবে?অর্থাৎ আল্লাহুমা বারিক আলা থেকে শেষ পর্যন্ত নামাজে দুইবার পড়লে সমস্যা আছে?

৩.অনেক সময় আমি শাশুড়ি মার রেসিপিতে রান্না করিনা।মানে উনি তরকারীতে যা যা দেন আমি তার সব দেইনা,কিন্তু উনি জিজ্ঞেস করলে বলি জি সবই দিয়েছি।মানে আমি কৌশলে সত্যি বলার চেষ্টা করে এটা বুঝায় যে আমার রেসিপি অনুসারে তরকারীতে সবই দিয়েছি।যেহেতু উনি জিজ্ঞেস করার সময় উনার রেসিপি অনুসারে সব দিয়েছি কিনা এটা মেনশন করেনা। এটা কি মিথ্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
যেহেতু এসব সামগ্রী দ্বারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জুয়া তথা হারাম কাজ হয়,তাই এসব পন্য বিক্রয় মাকরুহ।   
,
এসব খেলার সামগী,জার্সি ইত্যাদি বিক্রয় করা মাকরুহ হলেও তা বিক্রয়ের টাকা হারাম নয়,হালালই থাকবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

★এহেন ব্যবসা করা মাকরুহ,তাই না করাই উচিত। তবে এর উপার্জন হালাল থাকবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ 

(০২)
এটি যেহেতু নামাজের শেষ বৈঠকে,সুতরাং এক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে। সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা। 

(০৩)
আপনি নিয়ত রাখবেন যে "আমার রেসিপি অনুসারে তরকারীতে সবই দিয়েছি"
তাহলে এটি মিথ্যা হবেনা। এটি তাওরিয়াহ।

তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এভাবে তাওরিয়াহ করা ঠিক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...