আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম
১ / প্রেগনেন্সির জন্যে আমি নরমাল যেভাবে হানাফি ফিকে মহিলারা মাটিত সাথে মিশে সেজদা করে সেটা করতে কস্ট হয়, পেট এর চাপে মাথায় প্রেসার লাগে, এই জন্যে কি আমি কিছুটা উচু হয়ে বা অনেকটা ছেলেদের মত সেজদা দিতে পারব? চেয়ারে বসে নামাজ বা সেজদা করলে সেটা নামাজ অনুভব করা যায় না তাই আমি মাটিতেই সেজদা দিতে চাচ্ছিলাম
২। আমার সাদাস্রাব যায় দেখা যায় এখন ২০ মিনেটের মধ্যে চেক করা লাগে যে কিছু বের হয়েছে কি না এই অবস্থায় আমি ২ ওয়াক্ত নামাজ ২০/১০ মিনিটের ব্যবধান থাকলেও অজু ভাংনের অন্য কারন না থাকলেও  সাদা স্রাবের জন্যে ভেংে যায়, আবার দেখা যায় আমি নামাজ করে কোরআন পরতেসি তখন মনোযোগ দিতে পারি না মনে হয় অজু ভেংে গিয়েছে আবার নিজের জোর করে বুজাই পড়তে থাকলে গুনাহ হবে না তহ? এইখানে আমি কি করতে পারি? ওমরা করতে গেলে রত লম্বা সময় অজু করে কিভাবে থাকব?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/44884/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»
আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম।তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,তুমি দাড়িয়ে নামায পড়বে,তারপর দাড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে।(সহীহ বোখারী-১১১৭)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولو كان قادرا على بعض القيام دون تمامه يؤمر بأن يقوم قدر ما يقدر 
যদি কেউ নামাযে কিছু সময় কিয়াম করার পর  অক্ষম হয়ে যায়,এবং এরপর আর দাড়াতে সক্ষম না হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে নামাযে ততটুকুই দাড়াবে যতটুকু তার জন্য সম্ভব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৬)

তারপর উল্লেখ করা হয়,
وإن عجز عن القيام والركوع والسجود وقدر على القعود يصلي قاعدا بإيماء ويجعل السجود أخفض من الركوع، كذا في فتاوى قاضي خان حتى لو سوى لم يصح، كذا في البحر الرائق.
যদি কেউ নামাযে কিয়াম,রুকু,সিজদা করতে অক্ষম থাকে,কিন্তু সে আবার বসে বসে পড়তে সক্ষম হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে,;সে বসে বসে ইশারায় নামায পড়বে।এবং সেজদার সময় মাথাকে রুকু থেকে একটু বেশী নিচু করবে।(ফাতাওয়ায়ে কাযীখান)তবে যদি কেউ রুকু এবং সেজদার সময়ে মাথাকে সমান করে রাখে তাহলে তার নামাযই বিশুদ্ধ হবে না।(বাহরুর রায়েক্ব)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কিছুটা উঁচু হয়ে সেজদাহ দিতে পারবেন।

 আপনি বসে নামাজ আদায় করবেন।

এক্ষেত্রে নামাজের ন্যায় বসা আবশ্যক নয়,আপনি আপনার সুবিধা মতো পা দুটি ডান দিকে বের করে দিবেন। সেটি কষ্টকর করে পা দুটি সামনের দিকে বের রে দিবেন।

বসে থেকেই রুকু সেজদাহ ইশারার মাধ্যমে আদায় করবেন। রুকুর তুলনায় সেজদায় মাথা একটি বেশি ঝুকে দিবেন। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি মা'যুর নন।
সুতরাং সাদা স্রাব বের হওয়ার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

সাদা স্রাব বের হওয়া শেষ হলে অযু করে পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

কুরআন তিলাওয়াত রত অবস্থায় সাদা স্রাব বের হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ হলে চেক করতে হবে। যদি আসলেই সাদা স্রাব বের হয়,সেক্ষেত্রে তিলাওয়াত চালিয়ে যাওয়া যাবেনা।

সাদা স্রাব বের হওয়া শেষ হলে অযু করে এসে তিলাওয়াত করবেন।

★উমরাহ করতে গেলে তো সর্বদা অযু অবস্থায় থাকা জরুরী নয়। অযু অবস্থায় তওয়াফ করতে হবে। পবিত্র অবস্থায় মসজিদে হারামে যেতে হবে।

সুতরাং অযু অবস্থায় তওয়াফ শুরুর পর সাদা স্রাব আসলে সেক্ষেত্রে তওয়াফ বন্ধ রাখবেন।

সাদা স্রাব বের হওয়া শেষ হলে অযু করে এসে পুনরায় তওয়াফ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...