আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (43 points)
বিশ্বে ট্রান্স জেন্ডার মতবাদ বিষের মত ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের এই বিষ চলে এসেছে। এখন এটা ছড়িয়েও পড়ছে। এই বেডা আক্তার বেডিগুলার (ট্রান্সজেন্ডার) দিকে কি তাকানো যাবে?
হোচিমিন নামে একটা আছে। এটাকে দেখলেই যদিও বমি আসে। এটাকে দেখলে বুঝাও যায় না এটা কি ছেলে নাকি মেয়ে। আরেকটাকে দেখলাম উনি পর্দা করে। অথচ সে একটা পুরুষাঙ্গওয়ালা ছেলে। মেকাপ করে হিজাব দিয়ে নিজেকে মেয়েদের মত সে জাহির করার চেষ্টা করেছে। দেখতে কিছুটা মেয়েদের মতও লাগছে।
১.এইসবের দিকে তাকানোর হুকুম কি হবে? প্রকৃত পক্ষে যে পুরুষ তার ক্ষেত্রে তো পুরুষের বিধানই কার্যকর হবে না? অর্থাৎ সে পুরুষ কিন্তু নিজেকে নারী দাবি করে। এখানে তো পুরুষ হিসেবেই সব বিধান কার্যকর থাকবে তার উপর?

২.এদের দেখলে যে বমি আসে । কেউ যদি বমি করে দেয় তাহলে কি রোযা অবস্থায় রোজা বাদ হয়ে যাবে?

৩.এদের দেখলে কি ওযু ভেঙ্গে যাবে?
৪.যেহেতু এটা অত্যন্ত নিকৃষ্ট একটা কাজ। যারা ট্রান্স হচ্ছে এদের সম্পর্কে কিছু বললে সেটা তো সম্ভবত গীবত হবে না। বরং সচেতনতার জন্য সওয়াব হবে কি?

৫.এই মতবাদ রুখতে মুসলিমদের কি করণীয়?
আফওয়ান শাইখ। ট্রান্সজেন্ডার নামক এই জীবগুলোর ব্যাপারে ভালভাবে বলতে পারলাম না। মাফ করবেন।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান মতে ট্রান্সজেন্ডার(এক লিঙ্গ থেকে আরেক লিঙ্গে রূপান্তর)  জায়েজ নেই।
,
সুরা নিসার ১১৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 وَّ لَاُضِلَّنَّهُمۡ وَ لَاُمَنِّیَنَّهُمۡ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُبَتِّکُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰهِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا ﴿۱۱۹﴾ؕ

‘আর অবশ্যই আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, ফলে অবশ্যই তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে’। আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, তারা তো স্পষ্টই ক্ষতিগ্রস্ত হল। 

 تَغْيِيْرُ خَلْقِ اللهِ আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা যেমন, কান কাটা, চিড়া এবং ছিদ্র করা। 
,
আবার পরিবর্তনের অর্থ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিবর্তন এবং হালাল ও হারামের মধ্যে পরিবর্তনও হয়। পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা অনুরূপ মহিলাদের গর্ভাশয় তুলে ফেলে তাদের সন্তান জন্মানোর যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করাও এই পরিবর্তনের আওতায় পড়ে। মেকআপের নামে ভ্রূর চুল চেঁছে নিজের আকৃতির পরিবর্তন করা এবং চেহারা ও হাতে দেগে নকসা করা ইত্যাদিও এরই মধ্যে শামিল। এ সবই হল শয়তানী কার্যকলাপ, তা থেকে বিরত থাকা জরুরী।
,
সুরা রুম ৩০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

فِطۡرَتَ اللّٰهِ الَّتِیۡ فَطَرَ النَّاسَ عَلَیۡهَا ؕ لَا تَبۡدِیۡلَ لِخَلۡقِ اللّٰهِ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ ٭ۙ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿٭ۙ۳۰﴾

আল্লাহর প্রকৃতি, যে প্রকৃতির উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রকৃত পক্ষে যে পুরুষ তার ক্ষেত্রে পুরুষের বিধানই কার্যকর হবে।

প্রকৃত পক্ষে যে নারী তার ক্ষেত্রে নারীর বিধানই কার্যকর হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে অনিচ্ছায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভাঙ্গবে না। 

ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ ভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। মুখ ভরে না হলে রোযা ভাঙ্গবে না। 

অনিচ্ছায় হলে বা ইচ্ছেকৃত মুখ ভরে না হলে রোযা ভাঙ্গবে না।

(০৩)
না,এদেরকে দেখলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।

(হ্যাঁ যদি কাহারো উত্তেজনা বশত মযি বের হয়,সেক্ষেত্রে তার অযু ভেঙ্গে যাবে।) 

(০৪)
সচেতনতার জন্য অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে বললে জায়েজ হবে।  এক্ষেত্রে ছওয়াবও হবে।

(০৪)
এটি যে হারাম,তাহা সকলের মাঝে প্রচার প্রসার করা। দুনিয়া ও আখেরাতে এর কুফল সম্পর্কে মানুষদের অবগত করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...