আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in ওয়াসওয়াসা by (21 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আশা করি ভালো আছেন।
হুজুর লোকটি খুবই পেরেশানিতে আছে।অনুগ্রহ করে সাহায্য করুন হুজুর!
নাম আব্দুল্লাহ,  ময়মনসিংহ।
হুজুর আমাকে তাড়িয়ে দিয়েন না! সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ করতেছি হুজুর।

১\ একদিন স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছি। কিন্তু সে বলেছে ডাক্তার দেখাবে না। এর পর আমি বলেছি তোমার কিন্তু সমস্যা হবে সারা জীবন এর কারনে আমার কাছে কাল হয়ে যাবে।তাহলে তোমার সাথে এক মাস দেখা করবো না কথা বলবো না তুমি তাহলে বাসায় যাও না হয় গাড়িতে উঠিয়ে দেই যেখানে ইচ্ছা যাও যা ইচ্ছা কর। তুমি  ডাক্তার  না দেখিয়ে কথা মানলে না সারা জীবন তোমার আফসোস করতে হবে । এমনটি বলার সময় তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে সমস্যা হয়েছে কিনা? পরে বকাযকা করে একটু পর স্ত্রী ডাক্তার দেখাইছে এখন যদি না দেখাতো তাহলে কি সমস্যা হত কি না? জানানোর অনুরোধ রইলো।

২\ স্ত্রী বলল আমি বাড়িতে যাবো তখন স্বামী রাগে বলেছে এখন আমি তোমাকে নিয়ে যেতে পারবো না একা একা চলে যাও বা তোমার বাপেরে বলো নিয়ে যেতে। এটা বলার সময় তালাকের ওয়াসওয়াসা আসার দারা কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা টেনশন হচ্ছে।

৩\ দাঁত খিটমিটে স্বামী স্ত্রীকে বলে হায় তুমি আমাকে রাগ উঠানো থেকে বিরত থাক, এভাবে রাগ উঠালে সমস্যা হয়ে যাবে পরে সারা জীবন আফসোস করতে হবে। এ সময় তালাকের ওয়াসওয়াসা আসার কারনে কোন সমস্যা হবে কি না?
হুজুর দয়া করে জানানোর অনুরোধ রইলো ।
হুজুরের কাছে অনুরোধ আমার এই উত্তর গুলো দিবেন।

আমার তালাক সম্পর্কে সব সমস্যা এগুলো।

 ৪\আমার মনে তালাক শব্দটা বেশি বেশি উদয় হচ্ছে। নামাজে খেতে মাঝেমধ্যে মনের অজান্তেই মুখ থেকে বের হয়। এতে  বৈবাহিক সম্পর্ক কোন সমস্যা হবে কি না? এর পর তালাক সম্পর্কে মাসয়ালা খোঁজ করি ইন্টারনেটে তালাকের বিভিন্ন শব্দ লিখে সার্স করেছি যেগুলো বউকে উদ্দেশ্য করে বললে সমস্যা হয়। এখন এগুলো গুগুলে লিখার কারনে এতে কি কোন সমস্যা হবে কিনা এ নিয়ে অনেক টেনশন লাগতেছে। আবার একদিন বউকে বলেছি ,প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বউ ছাড়া আছি,। এতে কোন সমস্যা হয়েছে কি না টেনশন হয়েছে।

৫\আরেকদিন মায়ের সাথে তর্কের এক পর্যায়ে বলেছি যদি আর আমার স্ত্রী নিয়ে একটা কথা বলো এখনি তালাক দিয়ে দেম। পরে মা সাথে সাথে চুপ করেছে যে বিষয়ে তর্ক চলছিল তা বন্ধ করেছে। তবে কিছুক্ষনপর মা আবার কথা বলেছে সম্ভবত অন্য বিষয়ে। এখন কি হবে? কিন্তু আমি আর কিছু বলেনি বলেছি শুধু তাহলে দিয়ে দিতে হবে। হুজুর! একথা বলার পর থেকে অস্থিরতা বেড়েই যাচ্ছে, হায়! কি বললাম কোন কিছু হল কি না? তাই দুজন স্বাক্ষীর সামনে সন্দেহের কারনে দ্বিতীয়বার নতুন ভাবে বিবাহ করেছি। মনে যন্ত্রণা করছে এখন কি করবো? দয়া করে এর সমাধান কোরআন হাদিসের দলিলসহ বিস্তারিত জানালে খুবই উপকৃত হতাম। হুজুর,এখন আরো টেনশনে বেড়েই চলেছে অনেক কষ্ট হচ্ছে আমি এখন কি করবো আমাকে পরামর্শ দিলে অনেক ভালো হয়।আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতি দান করুন।

৬\ হুজুর স্বামী তার মার সাথে তর্কের সময় বলেছে আমার স্ত্রী তোমাদের পছন্দ হয় নাই তাহলে আমি এসব জামেলা থেকে (স্ত্রী থেকে একবারে)মুক্ত হয়ে যাই ।
এখন খুবই পেরেশানিতে আছে কিছু হলো কি না?তাই দুজন স্বাক্ষীর সামনে সন্দেহের কারনে আরও একবার  বিবাহ নবায়ন করেছি। এটা কি ঠিক হল কি না?

৭\ অনেক সময় স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হলে মনে মনে উদয় হয়। এরে এইভাবে ঐ ভাবে ১বছর পর বা দুই বছর পর একবারে বিদায় করে দিবো ইত্যাদি অনেকবার প্রচুর পরিমাণে জাগ্রত হয় ও খুবই বেশি চিন্তা আসে। হুজুর কোন সমস্যা হল কি না ?
এবং  তালাক দিবে বলে অনেকের কাছে পরামর্শ করার দ্বারা কোন সমস্যা হয়েছে কি না হুজুর ?

৮/আরেকটি মাসয়ালা,  এক ছাত্র কুদুরী জামাত পড়া কালে  বলল  যদি ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করে তালাক এরপর ছেলিটি ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেছে। সে এধরনের কথা বলেছে নিশ্চিত। কিন্তু এখন একথাটা চুড়ান্তভাবে নিশ্চিত না যে ১৮ বছরের কথা বলেছে নাকি ২১ বছরের কথা  বলেছে। অর্থাৎ তার মনে নেই নিশ্চিত ভাবে বলতে পারতেছেনা কত বছরের কথা বলেছে ২১ না ১৮। এখন ২১ বছর বয়স শুরু হওয়ার সময় বিয়ে করার কারনে কি  স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবে?

৯/যদি এমন হয়ে থাকে যে আমি আগে হয়তো এই ধনের কথা বলেছি যেটা এখন আমার মনে নেই যে কথাটা বলেছি নাকি বলি নাই তাহলে কি স্ত্রী তালাক হবে?আর যদি এই ধরনের কথা বলেও থাকি কিন্তু আমার মনে না থাকার কারনে কি তালাক পড়বে?

মনে করেন আমি এই ধরনের কথা বলেছি কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে বলেছি নাকি মনে মনে বলেছি এই ব্যপাারে আমি নিশ্চিত না তাহলে কি বিয়ার পরে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?যেহেতু আমি শিউর না অর্থাৎ সন্দেহ হচ্ছে।যদি মুখে উচ্চারণ করে বলে থাকি কিন্তু আমার মনে না থাকার কারনে কি তালাক হয়ে যাবে?

১০\ বাস্তবে তালাক দেয়নি। কিন্তু মাসয়ালা জিগ্যেস করার সময় অন্যের কাছে নিজের দিকে নিসবত করে তালাক দিয়েছে বলে মাসয়ালা জানলে কি সমস্যা হবে কিনা?। এভাবে অনেক মুফতি সাহেবের কাছে জানতে চাইলে কোন সমস্যা হয়েছে কি না?

১১\ হুজুর শেষ কথা হলো এগুলো কারণে এখন অনেক টেনশন হচ্ছে হায় স্ত্রী হালাল আছে কি না? এবং স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ হয়ে যায়। কোন ভালো কাজেও মন বসে না। মনে হয় ভালো কাজ করলে কি হবে যদি স্ত্রী হারাম হয়ে থাকে!
হালাল না হারাম এটা নিশ্চিত হওয়ার কোন সুরত বা আমল আছে কি না?
এখন কি করবো?।  নিজেকে সবসময় অপরাধী মনে হয়, যেকোন কাজে একটা দুর্বলতা কাজ করে। সাহস হারিয়ে ফেলি । এখন কী করবো হুজুর ?
হুজুর আমাকে আন্তরিকভাবে এর সমাধান ও পরামর্শ  দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...