বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দিবস পালন করা নাজায়েয ও হারাম।
জন্মদিন পালন করা অমুসলিদের রীতিনীতি ও তাদের আবিস্কৃত বিষয়।সুতরাং জন্মদিন পালন করা কখনো জায়েয হবে না।
যদি কারো জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু করতেই হয়, তাহলে সে যেন প্রতি সাপ্তাহের ঐ দিনে রোযা রাখে।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে উনার জন্ম হিসেবে এবং সর্বপ্রথম কুরআন নাযিল হয় হিসেবে এবং এ দিন আল্লাহর সামনে বান্দাদের আ'মলসমূহ পেশ হয় হিসেবে এবং এ দিনে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন হিসেবে রোযা রাখতেন।শুধু এদিন নয় বরং আ'মল পেশ হয় হিসেবে বৃহস্পতিবারে ও রোযা রাখতেন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।
(১)
খালিছ নিয়তে তাওবাহ করলেই যথেষ্ট হবে।
(২)
এগুলোকে যেহেতু আপনাকে দেয়া হয়েছে।যারা দিয়েছেন,তারা অন্তর থেকেই দিয়েছেন।তাই এগুলোর মালিক আপনি।তাই চাইলে এগুলোকে আপনি নিজের কাছেও রেখে দিতে পারেন।আবার চাইলে নিকটাত্মীয় কাউকে দান করে দিতেও পারেন।আপনার কোনো আত্মীয় ছোটবোনকে দিয়ে দিতে পারেন।নিজের কাছে রাখার চেয়ে কাউকে দিয়ে দেয়াই উত্তম হবে।
(৩)
ঐ জিনিসগুলো কে আপনার কাছে তাঁদের মন রক্ষার্থে রাখতে পারবেন,যতদিন না তারা পূর্ণ হেদায়তের পথে আসছেন।এক্ষেত্রে আপনি তাদেরকে হেকমতের সাথে দাওয়াত ও তাবলীগ করবেন।
(৪)
যেহেতু ঐ বইয়ে ইসলাম বিরোধী কিছু নেই,তাই আপনি চাইলে ঐ বইকে নিজের কাছেও রাখতে পারেন,আবার চাইলে কোনো অমুসলিম সহপাঠীকেও দিয়ে দিতে পারেন।