আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,,
উস্তাদ প্রথমেই আমি বলে রাখি আমি একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত একজন রুগী। সেদিন হঠাৎ করে তালাকের মজলিসের ব্যাপারটা আমার চোখে বাঁধে। সেই থেকেই শুরু হয়ে গেছে মনের অস্থিরতা। কিছু জিজ্ঞাসা করার মতনও সাহস আমার হচ্ছে না। যে ফায়সালাই আসুক মেনে নিবো ইনশাআল্লাহ।
উস্তাদ এটা অনেক আগের ঘটনা।আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিন্তু আপনারা ফাতোয়া দিয়েছেন তালাক হয়নি। আমিও সেই ভরসাতেই নিশ্চিন্তে ছিলাম।
কিন্তু সেদিন একটা মাসআলা জানতে পারলাম। যে তালাকের মজলিসে যেকোনো কেনায়া বাক্যের মাধ্যমে তালাক কার্যকর হবে।
পয়েন্ট ১.স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তোকে আবার মুখে স্পষ্ট কইরা তিন তালাক বা তালাকের কথা বলা লাগে বা তালাক দিলে তোরে আবার মুখে স্পষ্ট কইরা বলা লাগে, এভাবে কথার পরিপ্রক্ষিতে যদি তালাক শব্দ ব্যবহার করে তাহলে কি তালাক পতিত হয়?
এই প্রশ্নটা আমি অনেক আগে করছিলাম তখন উত্তর দিয়েছেন তালাক হয়নি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে উক্ত আলোচনায় কি তালাকের মজলিস প্রমানিত হয়েছে? কারন তার আগে কিংবা পরে তো স্বামী কেনায়া বাক্য; ব্যবহার করেছে যদিও তখন স্ত্রী কোনো কথাই বলেনি। চুপ করে ছিলো।
পয়েন্ট ২* আজ সকালে আমার সাথে আমার স্বামীর অনেক ঝগড়াঝাঁটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে উনি আমাকে কয়েকবার বলে, তালাক দিমু ক? অর্থাৎ প্রশ্নের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করে যে ,তোরে কি তালাক দিমু ক ? এই কথাটা অনেকবার বলে । তারপর আবার বলে তুই আমারে তালাক দিয়া চইলা যা।
উনি বাসা দিয়ে চলে যান পরে আবার আসেন। তখন উনি মনে মনে উপলদ্ধি করেন যে উপরোক্ত কথার মাধ্যমে আমাদের ভিতরে তালাক হয়ে গিয়েছে।( তাই উনি বলেন যে,"" আমাদের ভেতরে তালাক হয়ে গিয়েছে"""। ) Important question.
এখন এই কথার মাধ্যমে কি তালাকের মজলিস প্রমানিত হয়েছে? কারন এই মজলিসে তো আমার স্বামী কেনায়া বাক্য ব্যবহার করেছে । তখনও স্ত্রী চুপ ছিলো । তালাক চাওয়া বা অন্য কোন ধরনের কথা কিছুই বলেনি। বরং স্বামীকে ভালোবাসার মাধ্যমে থামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। এখন কি তালাক পতিত হয়েছে?
পয়েন্ট ৩* আর এক দিন উনি আমার উপরে প্রচন্ড রাগ হন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এমনকি গায়েও হাত তুলে। তখন আমার মা আর শাশুড়িও ছিলেন। এমনকি তখন নানান রকমের কেনায়া বাক্যও বলতে থাকেন। তখন তার কোনো হুঁশই ছিলো না । অনেক রাগারাগী করে চেঁচামেচি করে। পরে এক সময় বলে , "" তোরে কি মুখ দিয়ে তালাক দিয়ে দিমু ক? "" এই কথাটা দুইবার বলে যতটুকু মনে পড়ে আরকি । তাইলে বল আমি তোরে মুখে তালাক দিয়ে দেই। এই কথাটা বলায় আমার শাশুড়ি তাকে ধমক দেয় এবং বলে এই কথা আর মুখে না আনতে। এর পরেও যতটুকু মনে পরে দুই একটা কেনায়া বাক্য ব্যবহার করছে ।
পরদিন আমি তাকে শান্ত হয়ে রাগ ভাঙাতে চাই। তখনো সে নানান রকম কেনায়া বাক্য বলে এবং সে জানায় যে কালকে যেসমস্ত কথা হয়েছে তাতে আর সম্পর্ক নাই । ( এটা সে তার ভাবনা থেকে বলেছে , মনে করেছে যে উক্ত কথায় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ) ।
*উপরোক্ত কথায় কি আমাদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে?
* উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে কি তালাকের মজলিস প্রমানিত হয়? তাহলে যেসমস্ত কেনায়া বাক্য ব্যবহার করেছে তার মাধ্যমে কি তালাক পতিত হয়ে যাবে ?
আল্লাহ যেনো ভালো কোনো ফায়সালাই দেন। অলরেডি হার্টের ব্যথা শুরু হয়ে গেছে ❤️