আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আমার স্বামী ব্যাংক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন যেটাতে বর্তমানে আমরা বসবাস করছি। প্রতি মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে কিস্তি দিয়ে ১৫ বছরে লোনটা পরিশোধ করতে হবে। ৫০ লক্ষ টাকার জন্য ব্যাংককে আরো ৩- ৪ লক্ষ টাকা বেশি দিতে হবে।সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকায় সুদের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন, যার ফলে এখন অনুতপ্ত।  উনার অনেক আত্নীয় উনার কাছ থেকে ঋন নিয়েছেন অনেক বছর হয়ে গিয়েছে।আদৌ কি পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা নাই। ঠিক কত টাকা দিয়েছেন সেটাও মনে নাই।
১.ঋন দেওয়া টাকার যাকাত দিতে হবে?
২.উনার কাছে যদি ৪-৫ লক্ষ নগদ টাকা থাকে যেটার বছর পুর্ন হয়েছে, সেটার যাকাত কি দিতে হবে? হিসাবটা কি রকম হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একব্যক্তি ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা ঋণ উত্তোলন করেছে।আন্তর্জাতিক বাজার(বর্হি:বিশ্ব) থেকে এই টাকায় সে একটি প্লান্ট (মেশিনারি)ইম্পোর্ট (আমদানি) করল।যেহেতু ওই প্লান্টটি যাকাত যোগ্য সম্পদ নয়,সেহেতু এই অবস্থায় এই ঋণ সামগ্রিক সম্পদ থেকে বাদ দেয়া হবে না।কিন্তু যদি ঋণের এই অর্থে সে কাঁচামাল ক্রয় করে থাকে,তাহলে যেহেতু কাঁচামালের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়,তাই এই ঋণ সামগ্রিক সম্পদ থেকে বাদ দেয়া হবে।কেননা ঋণের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে এটিকে সামগ্রিক সম্পদ থেকে বাদ দেয়া হলেও কাঁচামাল তো সামগ্রিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।
সারকথা হলো- প্রয়োজনীয় ও অস্বাভাবিক ঋণের পুরোটাই সামগ্রিক সম্পদ থেকে বাদ দেয়া যাবে।আর যে ঋণ কেবলমাত্র মুনাফা অর্জনের উদ্দশ্যে নেয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা হলো যে,যদি ঋণের অর্থে যাকাত অযোগ্য সম্পদ ক্রয় করা হয়,তাহলে ওই ঋণের অর্থ হিসাব থেকে বাদ দেয়া যাবে না।আর যাকাতযোগ্য ক্রয়ে অর্থলগ্নি করলে তা সামগ্রিক সম্পদের হিসাব থেকে বাদ দেয়া যাবে।এই ছিল যাকাত বের করার ক্ষেত্রে শরীয়তের আহকাম।(ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যাকাতের বিধান-মুফতী তাক্বী উসমানি-৩৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1456

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লোন গ্রহণ হারাম। তবে যেহেতু আপনি ব্যবসার জন্য লোন গ্রহণ করেননি,বরং গৃহ নির্মাণ বাবৎ লোন নিয়েছেন, তাই এই ঋণ থাকাবস্থায় আপনার উপর যাকাত আসবে না। তবে যদি এই ঋণ থেকেও অধিক নেসাব টাকা আপনার নিকট থাকে, তাহলে যাকাত আসবে।

কারো কাছে ঋণ পাওনা থাকলে, এই মুহূর্তে ঐ টাকার যাকাত ওয়াজিব হবে না বরং যখন হস্তগত হবে,তখনই যাকাত ওয়াজিব হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1483


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...