আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

১) রেকর্ডেড কোর্স ১জনে কিনে ২জনে ক্লাস করতে পারবো? মানে আমার বান্ধবীর সাথে কি আমি কোর্স শেয়ার করতে পারবো?
(কোর্সটা লাইফটাইম এক্সেস)
[যদিও ইন্সট্রাক্টর বারণ করেছেন এমন করতে]

নির্ভরযোগ্য এক শায়েখের আলোচনায় শুনেছিলাম, ❝যখন কোনো কোর্স আমরা কিনবো, সেটাতে লাইফটাইম এক্সেস থাকলে সেটা সম্পুর্ণ আমাদের হয়ে যায়, এবং এই কোর্স দিয়ে পরিবারের কেউও উপকৃত হতে পারে❞

আমি কনফিউশানে আছি, অনুগ্রহপূর্বক এটা সম্পর্কে একটু ক্লিয়ার করলে উপকৃত হতাম ইং শা আল্লহ ।

২) ফরজ নামাজের পর দোয়া কবুল হয়, কিন্তু কিভাবে/এবং কোন সময়ে দোয়া করা উত্তম?
[যেহেতু ফরজ নামাজের মধ্যে একটু সতর্ক থাকতে হয় দোয়ার ক্ষেত্রে]

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে উক্ত কোর্স এর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জেনে নিতে হবে।

যদি তারা এভাবে একসাথে ২ জনে ক্লাস করার অনুমতি দেন,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেনা।

আর যদি তারা নিষেধ করেন,সেক্ষেত্রে এভাবে রেকর্ডেড কোর্স ১জনে কিনে ২জনে ক্লাস করা যাবেনা।
এটি ধোকার শামিল হবে। 

(০২)
ফরজ নামাজের পর দোয়া করা যাবে।
এ সময় হাত তুলেও মুনাজাত করা যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আবূ উমামাহ (রা.) হতে বর্ণিত,

قیل لرسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم، ای الدعاء اسمع؟ قال: جوف اللیل الآخر، و دبر الصلوات المکتوبات

সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুনাজাত বেশি কবূল হয়? রাসূলুল্লাহ (সা.)বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মুনাজাত। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৮৮)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ : سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ : كَانَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنَ الصَّلَاةِ يَقُولُ " لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ، أَهْلُ النِّعْمَةِ وَالْفَضْلِ وَالثَّنَاءِ الْحَسَنِ لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ "

আবুয-যুবাইর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ)-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণে বলতে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফারয সলাত শেষে বলতেনঃ ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ দীন ওয়ালাও কারিহাল কাফিরুন। আহলুন নি‘আমি ওয়াল ফাদলি, ওয়াস সানায়িল হুসনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ দীন ওয়ালাও কারিহাল কাফিরুন।’’

মুসলিম (অধ্যায় : মাসাজিদ, অনুঃ সলাতের পর যিকর করা মুস্তাহাব), নাসায়ী (অধ্যায় : সাহু, অনুঃ সালামের পর তাহলীল করা, হাঃ ১৩৩৮)।

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ وَرَّادٍ، مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَىُّ شَىْءٍ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : إِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ فَأَمْلَاهَا الْمُغِيرَةُ عَلَيْهِ وَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ " -

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতের সালাম ফিরানোর পর কোন দু‘আ পাঠ করতেন তা জানার জন্য মু‘আবিয়াহ (রাঃ) মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহর কাছে পত্র লিখলেন। অতঃপর মুগীরাহ (রাঃ) মু‘আবিয়াহর (রাঃ) নিকট পত্রের জবাব লিখে পাঠালেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বায়তা ওয়ালা মু‘ত্বি‘আ লিমা মানা‘তা ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দু মিনকাল জাদ্দ।’
বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ সলাতের পর যিকর, হাঃ ৮৪৪), মুসলিম (অধ্যায় : মাসাজিদ, অনুঃ সলাতের পর যিকর করা মুস্তাহাব)।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★কোন সময়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়,সে সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...