জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অন্য পৃষ্ঠায় লিখলে গুণাহ হবেনা
তবে অহেতুক এমনটি করলে অপচয় হবে।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রয়োজন ব্যাতিত গায়রে মাহরাম নারীদের কন্ঠ শোনা জায়েজ নয়।
অনিচ্ছাকৃত ভাবে কানে চলে আসলে স্থান ত্যাগ করতে হবে।
(০৩)
জায়েজ নেই।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَوِ اطَّلَعَ فِي بَيْتِكَ أحدٌ ولمْ تَأذن لَهُ فخذفته بحصاة ففتأت عَيْنَهُ مَا كَانَ عَلَيْكَ مِنْ جُنَاحٍ»
[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি- কোনো ব্যক্তি যদি অনুমতি ব্যতীত তোমার ঘরে উঁকি মারে যাকে তুমি অনুমতি দাওনি আর তুমি যদি তাকে কোনো কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু ফুঁড়ে দাও, এতে তোমার কোনো অপরাধ নেই।
(বুখারী ৬৮৮৮, মুসলিম ২১৫৮, আহমাদ ৭৩১৩।)
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى، أَنَّ إِسْحَاقَ بْنَ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَهُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا أَتَى بَيْتَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَلْقَمَ عَيْنَهُ خَصَاصَةَ الْبَابِ، فَأَخَذَ سَهْمًا أَوْ عُودًا مُحَدَّدًا، فَتَوَخَّى الأعْرَابِيَّ، لِيَفْقَأَ عَيْنَ الأعْرَابِيِّ، فَذَهَبَ، فَقَالَ: أَمَا إِنَّكَ لَوْ ثَبَتَّ لَفَقَأْتُ عَيْنَكَ.
আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক বেদুইন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাড়িতে এসে দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারলো। তিনি একটি তীর বা সুচালো কাঠ তুলে নিলেন এবং বেদুইনের চোখ ফুঁড়ে দেয়ার জন্য তা তার দিকে তাক করলেন। অতএব সে চলে গেলো। তিনি বলেনঃ তুমি যদি স্থির থাকতে তবে আমি তোমার চোখ ফুড়ে দিতাম। (নাসাঈ, হাকিম,আল আদাবুল মুফরাদ ১১০১)
وَعَن سهل بنِ سعد: أَنَّ رَجُلًا اطَّلَعَ فِي جُحْرٍ فِي بَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِدْرًى يَحُكُّ بِهِ رَأْسَهُ فَقَالَ: «لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكَ تنظُرُني لطَعَنْتُ بهِ فِي عَيْنَيْكَ إِنَّمَا جُعِلَ الِاسْتِئْذَانُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ»
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরজার ছিদ্র দিয়ে উঁকি দিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (হাতে) একটি শলাকা ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা চুলকাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি যদি নিশ্চিতভাবে জানতাম যে, তুমি (সংগোপনে) আমার দিকে তাকাচ্ছ, তাহলে আমি এর দ্বারা (শলাকা দিয়ে) তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। কেননা অনুমতি নেয়ার বিধান এ চোখের কারণেই দেয়া হয়েছে (যাতে কেউ কিছু দেখতে না পায়)।
(বুখারী ৬৯০১, মুসলিম ২১৫৬, নাসায়ী ৪৮৫৯, তিরমিযী ২৭০৯, আহমাদ ২২৮০২, সহীহ আল জামি‘ ২৩৫৪, সহীহ আত্ তারগীব ২৭৩০।)
অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে প্রবেশ করলে বা উঁকি দিলে অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এতে ঘরের ব্যক্তি নানা কিছুর সম্মুখীন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই ইসলাম অন্যের ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ভাড়া বাসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
(০৫)
কেউ না থাকলে সেক্ষেত্রে নিজ বাসায় প্রবেশ জায়েজ। অন্যের বাসা হলে সেই রুমে এক্ষেত্রে এভাবে প্রবেশের অনুমতি থাকলে প্রবেশ করা যাবে,নতুবা নয়।
(০৬)
দ্রুত কথা শেষ করা।
তার দিকে যেনো মন আকৃষ্ট না থাকে,সেদিকে সজাগ থাকা।
(০৭)
পর্দার আড়ালে থেকে উক্ত কথপোকথন হয়ে থাকলে সেটি জায়েজ হয়েছে।
(০৮)
পর্দার আড়ালে থেকে প্রশ্ন করলে সেক্ষেত্রে উক্ত উত্তর দিলে গুনাহ হবেনা।
তবে ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা।
গায়রে মাহরাম হলে অপ্রয়োজনীয় হলে উত্তর দেয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।
(০৯)
গুনাহ হবেনা।
(১০)
ইচ্ছাকৃতভাবে ভাবে শুনলে গুনাহ হবে।
অনিচ্ছায় কানে চলে আসলে গুনাহ হবেনা।
তবে তারপরেও সতর্কতক কাম্য।
সব বাসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
(১১)
ইচ্ছাকৃত হওয়ায় এতে গুনাহ হবে।
অনিচ্ছায় হলে গুনাহ হবেনা।
(১২)
স্যারের অনুমতি ছাড়া তার মোবাইল থেকে সময় দেখা জায়েজ হবেনা।