ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একজন মানুষ দৈনিক যত টাকাই উপার্জন করুক না কেন বৎসর শেষে যদি যাকাতের নিসাব পরিমান সম্পদ তার নিকট না থাকে তাহলে তার উপর জাকাত ফরয হবে না।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে।(সুনানে ইবনে মাজা-১৭৯২)
জাকাতের নিসাবঃ-
সোনা হলে-সাড়ে সাত (৭.৫)ভড়ি
রোপা হলে-সাড়ে বায়ান্ন(৫২.৫)ভড়ি
এবং শুধু টাকা হলে রোপার নেসাবে বা হিসাবে যাকাত আসবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হল, বৎসরের শুরু থেকে নিয়ে বৎসরের শেষ পর্যন্ত নেসাব পরিমাণ মালোর মালিক থাকা। এবং বৎসরের মধ্যখানে উক্ত মাল সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ না হয়ে যাবে। সুতরাং বৎসরের মধ্যখানে যেই মাল অর্জিত হবে, সেই মালোর জন্য এক বৎসর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। বরং বৎসরের শুরুতে কেউ নেসাব পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, বৎসরের শেষ পর্যন্ত পূর্বের মালের সাথে যেই পরিমাণ মাল তার কাছে যুক্ত হবে, সব মালের যাকাত দিতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/70964
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাকাতের জন্য চন্দ্রবর্ষ কে বাঁচাই করে রমজান মাসে যাকাত প্রদানই উত্তম। এক রমজান থেকে অপর রমজান পর্যন্ত যাকাতের বৎসর গণ্য করা হবে। সুতরাং পরবর্তী রমজান মাসে আপনি হিসাব করে দেখে নিবেন যে, আপনার নিকট কত টাকা আছে এবং দোকানে মাল বাবৎ কত টাকা হবে। যদি নেসাব পরিমাণ টাকা থাকে, তাহলে যাকাত ফরয হবে।