আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
হস্তমইতুন করা । এটা ফিল হবার পর অনুভব হয় যে এটা  পাপ করছি  ।পরে আবার দীনের পথে ফেরার চেষ্টা করা । পরে যখন আবার সেই মোহো আসে আবার সে খারাপ দিকে ছুটে যায় , মোহ  আউট করার পর আবার ইসলাম ফেরার চেষ্টা করি  ।এবং যখন  মুহে থাকি অনেক কষ্টের টাকা মেয়েদের কে দিয়ে দেই কেন দেই জানিনা ।তখন টাকা দিতে শান্তি লাগে খুব ।কিন্তু মুহ্ চলে গেলে আফসোস আর কান্না করি
এই কোন পরীক্ষায় আছি ? আর এটা কি কোন রোগ মানুসিক ? এর বাচার উপায় কি । বয়স ২৪ । বিদেশে আছি  ,তাই লিগ্যাল না হওয়া পযন্ত দেশে এসে বিয়ে করার সুযোগ নাই ।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

 https://ifatwa.info/9968/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে।

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)

একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ -কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)

বেশি বেশি যিকির করতে হবে।

মাঝে মাঝেই দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে সময় লাগাতে পারেন।

বেশির ভাগ সময় মসজিদে কাটানোর চেষ্টা করুন।

নিজের ভিতর থেকে হতাশা সম্পূর্ন ভাবে দূর করে দিন। আলোর পথে আসুন।

নিজ মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব,মুয়াজ্জিন সাহেব থেকে সাজেশন নেওয়ার চেষ্টা করুন।

তাদেত সাথে ফ্রি হয়ে কিভাবে আমলের পথে চলা যায়,সেটা জানুন। তাদেত সাথেই বেশিরভাগ সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।  

অসৎ সাথীদেত সাথে ঘুরাফেরা বন্ধ করুন।

যেই জায়গা,যেই কাজ করলেই ঐ বিষয় গুলো মাথায় আসে,সেই জায়গায় যাওয়া সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

হক্কানী শায়েখদের কাছে যান,তাদের দেওয়া সবক আদায় করতে পারেন।

কোনোভাবেই একাকী থাকা যাবেনা। কিভাবে কাহারো সাথে থাকা যায়, সেই ব্যবস্থা করুন। বিশেষ করে একাকী রাত কোনোভাবেই কাটানো যাবেনা। আপনার রুমে অন্য কাহারো থাকা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজন মেসে থাকতে পারেন। 

হাদিসে এসেছে নবী কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/৯১)

ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী -এর নিষেধ আছে।

কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার  রাখা যাবেনা, সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে। যথাসম্ভব মাগরিবের পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।

রাতে খাবার খাওয়ার কমপক্ষে  এক দেড় ঘন্টা পর বিছানায় যাবেন।

অনৈসলামিক কোনোকিছুই মোবাইল,কম্পিউটারে রাখা যাবেনা।

নেটে এজাতীয় সাইটে কোনোভাবেই যাওয়া যাবেনা।  

পাশাপাশি নবী নবী -এর নির্দেশিত প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সেটা হচ্ছে রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে।

হস্তমৈথুন কারীরা অনেকে সাহস না পাওয়ার কারনে বিবাহ করতে ভয় পায়,আসলে তাদের অনেকেই বিবাহ করতে পারবে,তবে ভয় পাওয়া আর হাতুরি ডাক্টারদের কথা শুনে বিবাহের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলে। আমি বলবো যে এক্ষেত্রে বিবাহই করতে হবে।

যদি শতচেষ্টার পর কোনো কারণে বিয়ে করা অসম্ভব হয়,তাহলে যৌনক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে এক্ষেত্রে রোযা রাখাই নির্দিষ্ট।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)

হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান, তারা যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ। (সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)

সুতরাং মাঝে মাঝে নফল রোজা রাখতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ

হে যুবক সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিবাহ করে। কেননা, বিবাহ তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের বিবাহ করার সামর্থ্য নাই, সে যেন রোযা পালন করে। কেননা, রোযা তার যৌনতাকে দমন করে। (বুখারী,হাদীস নং-৪৯৯৬)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/4425/

সমাধানের পথে আসতে হবে,স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে। এই জন্য ঔষধ সাজেস্ট করছিনা,বরং একটি ব্যায়াম করতে বলতেছি।

ক্যাগল ব্যায়াম, app এর মাধ্যমে এটি করলে আশা করা যায়,ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে,তাই app টি ডাউনলোড করতে হবে। পুরোপুরি হস্তমৈথুন ছেড়ে দিয়ে প্রতিদিন ১০-২০ মিনিট,টানা ৬ মাস এই ব্যায়াম করলে,আশা করা যায় আল্লাহর রহমতে এহেন দূর্বলতা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

এটি পরিক্ষিত একটি ব্যায়াম।

সম্ভব হলে এটি সারা জীবন চালিয়ে যেতে হবে, অনেক উপকার পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। বিস্তারিত জানুনঃ https://m.facebook.com/groups/1985670964785133?view=permalink&id=3385161001502782

আরো জানুনঃ https://www.ifatwa.info/6117

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 শয়তানের ধোকায় পড়ে একই গুনাহ বারংবার করছেন। এটি অত্যন্ত যঘন্য একটি গুনাহ। উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করতে আপ্রাণ চেষ্টায় থাকুন। বিশেষ করে আপনি যেই দেশে আছেন, সেখানে আপনার নিকটস্থ উলামায়ে কেরাম ও নেককার ব্যক্তিদের সাথে সময় দেওয়ার ও সোহবতে থাকার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ অদূর ভবিষ্যতে উক্ত গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকা আপনার জন্য সহজ হবে ইনশাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...