বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
গীবত করা এবং ইচ্ছাকৃত আত্মভরে কারো গীবত শোনা উভই কবিরা গোনাহ ও হারাম।সুতরাং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে।
তবে অনিচ্ছায় শ্রবণ করলে,সেটার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট ককরুন-
https://ifatwa.info/1715
(২)
গীবতের গোনাহ বান্দার হক সম্বলিত। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বান্দার হক উক্ত বান্দা ব্যতীত ক্ষমা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।হ্যা আল্লাহ চাহে তো যে কাউকে যে কোনো গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
তবে যদি কোনো বান্দা আপ্রাণ চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ হয়,তাহলে সে শুধুমাত্র আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে।তখন আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://ifatwa.info/641
(৩)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই হাদীসে যে বলা হচ্ছে, যারা মন্ত্র পাঠ করে না,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।এর অর্থ এ নয় যে,বৈধ রুকইয়া করলে তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে না।বরং বলা হচ্ছে,যারা বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্র দ্বারা রুকইয়াহ করবে,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে না।অথবা অর্থ এও হতে পারে যে,যারা রুকইয়ার প্রার্থনা করবে না,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।
কুরআন হাদীসের বাণী দ্বারা রুকইয়াহ জায়েয।রুকইয়াহ জিবরীল আলাইহিস সালাম করেছেন, রাসূলুল্লাহ করেছেন, সাহাবায়ে কিরাম করেছেন, এবং অন্যান্য সালাফে সালহীনরাও করেছেন। সুতরাং শরিয়তের সীমা লঙ্ঘন না হলে, এটা নিয়ে আপত্তির কিছু নাই, সংশয়েরও কিছু নাই।
সুতরাং বলা যায় যে,
আক্বিদা বিশুদ্ধ রেখে চিকিৎসা হিসেবে বৈধ কালাম দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করা বৈধ রয়েছে-
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-