আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমার বিসিএস এডমিন ক্যাডার নিয়ে প্রশ্ন ছিল এই চাকরিতে আমাদের সংবিধানের প্রতি আনুগত্যশীল, সুদের চুক্তি, নারী ক্ষমতায়ন এবং সরকারের নানা policy বাস্তবায়ন করা লাগে। অবশ্য নানা হালাল কাজের ও সুযোগ আছে আমি খুবই দন্দে আছি এই চাকরি হালাল নাকি হারাম। আমাকে সাহায্য করুন বাসা থেকে বিসিএস এর প্রিপারেশন নেয়া জোর দিচ্ছে, কিন্তু এই চাকরি হালাল নাকি হারাম এই চিন্তায় আছি।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি বিসিএস এর প্রিপারেশন নিতে পারেন। পরবর্তীতে যদি দেখেন সুদের চুক্তি সহ শরীয়ত বিরোধী নানা policy বাস্তবায়ন করা লাগবে, তাহলে ঐ চাকুরী করবেন না।কিন্তু দেখেন যে, হালাল কাজের সুযোগ আছে, তাহলে সেই চাকুরী করবেন। অবশ্যই পরবর্তীতে  চাকুরী পরিত্যাগ বড়ই কঠিন হবে। সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক চেষ্টা মুজাহাদা করতে হবে।

সবকিছুর পর আপনি আপনার মনের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by

( প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় সম্মানিত মুফতি সাহেব-কে  আমার Comment টি বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ রইল)
কোন অফিসার যে পদে নিয়োজিত হন, তাকে সে পদের সবগুলো কাজই করতে হয়; যার মধ্যে সামান্য কিছু হারাম কাজও করতে হয়। যেমন: একজন  Customs Officer কে  কে চাল, ডাল, ওষধ, গাড়ি ইত্যাদি হালাল product এর পাশাপাশি উক্ত  Officer এর  অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার পদের দায়িত্বের কারণে সিগারেট, মানুসের চুল, এলকোহল এসব হারাম Product(যদিও পরিমানে কম) এর আমদানি-রপ্তানিতে সহায়তা করতে হয়।
by (583,410 points)
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ
by
Thank you. স্যার, দেখা গেলো, এডমিন ক্যাডারের চাকরির হয়তো ৯৭ ভাগই হালাল, ২-৩% হারাম। কেউ যদি আয়ের ২-৩% দান করে দেন এবং আল্লার কাছে আপারগতার  জন্য ক্ষমা চান, তাহলে কি চাকরিটা করা যায়? ভালো লোক না আসলে   চাকরিতে অন্যায়-জুলুম বেড়ে যাবে।
Please comment.
by (583,410 points)
জ্বী, এই অবস্থায় বিষয়টা রুখসতযোগ্য হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...