ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية............... وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার স্বামী তালাকের নিয়তে,রাগের মাথায় আপনাকে মেসেজে বলেছে যে, "তুমার সাথে আমার সম্পর্ক নাই।তুমার আম্মাকে বলো তোমার জন্য ছেলে দেখতে।"
যেহেতু এটা বলার সময় আপনার স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলো। কিন্তু নির্দিষ্ট করে তালাকের কোনো সংখ্যার নিয়ত ছিলো না। তাই সর্বনিম্ন ১ তালাক কেনায়া পতিত হবে।
(২)
৪/৫ জন ফ্রেন্ডের সামনে/বাসে আপনার স্বামী যে বলল, "যে আমরা হাজবেন্ড ওয়াইফ,বা ও আমার বউ" এটা বলার কারণে বিয়ে হবে না।কেননা বিয়ে হওয়ার জন্য ইজাব কবুল শর্ত।
(৩)নতুন বিবাহ ব্যতিত আপনারা আর একত্রে বসবাস করতে পারবেন না।
(৪) শরিয়ত মোতাবেক এখন আপনারা আবার বিবাহ করে নিলে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে।