ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ
আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎ, পিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। (সূরা বাকারা-২৩৩)
মূলত স্বামীর উপর খাদ্য বস্র এবং বাসস্থান ওয়াজিব।তবে স্ত্রীর চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় প্রসাধনী সামগ্রী ও টুকটাক হাত খরচ দেয়া স্বামীর নৈতিক দায়িত্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য। কেননা স্বামীর খানা তৈরী,কাপড় ধৌত করা,স্বামীর পরিবারের লোকজনের খেদমত বিশেষ করে শাশুড়ীর খেদমত স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়। যেহেতু স্ত্রী এগুলোকে আঞ্জাম দেন,তাই স্ত্রীর চিকিৎসা সহ যাবতীয় জরুরী খরচাদি আদায় করাও স্বামীর দায়িত্ব।
পাকিস্তানের বিন্নুরী টাউন মাদরাসার দারুল ইফতা থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
شریعت کا حسن ہی یہ ہے کہ اس نے میاں بیوی کے حقوق میں توازن رکھا ہے اور حسنِ معاشرت کا حکم دے کر یہ واضح کیا ہے کہ میاں بیوی کا رشتہ باہم اخلاقیات اور ایثار اور ہم دردی سے چلتا ہے، کچھ چیزیں بیوی کے ذمہ لازم نہیں کیں ،اور کچھ شوہرکے ذمہ لازم نہیں کیں، لیکن حسنِ معاشرت کے باب میں دیانۃً اور اخلاقاً یہ چیزیں دونوں کی ایک دوسرے پر لازم ہیں۔فقط واللہ اعلم
فتوی نمبر : 144001200404
(২)
স্বামী যদি প্রথম স্ত্রীর কথা মতো বলে যে, তুমি জীবিত থাকা অবস্থায় আমি কোন মেয়েকে বিয়ে করলে সে তালাক(মন থেকেই বলেছে)।
প্রথম আহলিয়া পরবর্তীতে অনুমতি দিলেও স্বামী বিয়ে করলে সাথে সাথেই তালাক হয়ে যাবে। স্বামী এই কথা পরবর্তীতে ফিরিয়ে নিতে পারবে না।
হ্যা,প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর অন্যত্র বিয়ে করা যাবে।