জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عن أبي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه و سلم ( لو يعلم أحدكم ما له في أن يمر بين يدي أخيه معترضا في الصلاة . كان لأن يقيم مائة عام خير له من الخطوة التي خطاها (سنن ابن ماجه، كتاب الصلاة، باب المرور بين يدى المصلى، رقم الحديث-946)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি কোন নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে যদি জানতো [এর শাস্তি কতটা ভয়াবহ], তাহলে তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো নামাযীর সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪৬, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯২৫২}
মসজিদে হারামের নিরাপত্তা কর্মীরা হজ্ব, ওমরা পালনকারী ও নামাজ আদায়কারীদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এসব নিরাপত্তকর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দেয় বিভিন্ন শিফটে।
তারা নামাজের সময় গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামদের যাতায়াত, নিরাপত্তা প্রদান এবং নামাজের জায়গা, মসজিদের করিডোর এবং বৈদ্যুতিক লিফটগুলোকে প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখাসহ সারা বছর হজযাত্রীদের জন্য অন্যান্য পরিষেবা পরিচালনা করে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিরাপত্তার জন্য এভাবে নামাজির সামনে দাঁড়ানো জায়েজ আছে। তবে সুতরা না দিয়ে নামাজীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যাবেনা।
শুধু নিরাপত্তার কাজে নিয়জিত থাকার কারনে তারা জামাতে নামায আদায় করার মত সওয়াব পায়না।
জামাতে নামাজ আদায় করলে তবেই সেই ছওয়াব পাবে।
(০২)
নামাজি ব্যাক্তির অবস্থা,মসজিদের পরিবেশ,স্থান কাল পাত্র হিসেবে হুকুম বিভিন্ন হবে। কখনো প্রয়োজন হবে,কখনো প্রয়োজন হবেনা।
এক্ষেত্রেও শুধু নিরাপত্তার কাজে নিয়জিত থাকার কারনে তারা জামাতে নামায আদায় করার মত সওয়াব পাবেনা।
(০৩)
নামাজের ক্ষতি হবেনা।
তবে সুতরা না দিয়ে নামাজীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যাবেনা। সুতরা ছাড়া অতিক্রম করলে অতিক্রম কারীর গুনাহ হবে।