আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হলো :
১.কাবা শরিফের নামায আদায় করার ভিডিওতে দেখা যায় জামাত চলাকালীন সময়ে জামাতের মাঝখানে নিরাপত্তা কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকে। জামাতের নামাযে না দাঁড়িয়ে নামাযরত ব্যাক্তির সামনে দাড়ানোর শরিয় হুকুম কি? নিরাপত্তার কাজে নিয়জিত থাকার কারনে কি তারা জামাতে নামায আদায় করার মত সওয়াব পায়?

২. উপরের প্রশ্নটির আলোকে এই প্রশ্নটি হলো ঢাকার একটি মসজিদে এমন দেখা যায় কিন্তু উনারা কাবা শরিফের নিরাপত্তা কর্মী দের মত ড্রেস পড়া না উনারা খাদেম হতে পারে আমার বন্ধুর কাছে শুনা কিন্তু উনাদের যখন আমার বন্ধু জিজ্ঞেস করে তখন উনারা বলে নিরাপত্তার জন্য দাঁড়ায়। আমার প্রশ্ন হলো কখন এভাবে দারানো জায়েয এবং দাড়ালে জামাতে নামাযের মত সওয়াব পায় কিনা?
৩. নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া এভাবে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে দাড়ালে নামাযের কোনো ক্ষতি হয় কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه و سلم ( لو يعلم أحدكم ما له في أن يمر بين يدي أخيه معترضا في الصلاة . كان لأن يقيم مائة عام خير له من الخطوة التي خطاها (سنن ابن ماجه، كتاب الصلاة، باب المرور بين يدى المصلى، رقم الحديث-946)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি কোন নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে যদি জানতো [এর শাস্তি কতটা ভয়াবহ], তাহলে তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো নামাযীর সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪৬, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯২৫২}

মসজিদে হারামের নিরাপত্তা কর্মীরা হজ্ব, ওমরা পালনকারী ও নামাজ আদায়কারীদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এসব নিরাপত্তকর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দেয় বিভিন্ন শিফটে। 

তারা নামাজের সময় গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামদের যাতায়াত, নিরাপত্তা প্রদান এবং নামাজের জায়গা, মসজিদের করিডোর এবং বৈদ্যুতিক লিফটগুলোকে প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখাসহ সারা বছর হজযাত্রীদের জন্য অন্যান্য পরিষেবা পরিচালনা করে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিরাপত্তার জন্য এভাবে নামাজির সামনে দাঁড়ানো জায়েজ আছে। তবে সুতরা না দিয়ে নামাজীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যাবেনা। 

শুধু নিরাপত্তার কাজে নিয়জিত থাকার কারনে তারা জামাতে নামায আদায় করার মত সওয়াব পায়না।
জামাতে নামাজ আদায় করলে তবেই সেই ছওয়াব পাবে।

(০২)
নামাজি ব্যাক্তির অবস্থা,মসজিদের পরিবেশ,স্থান কাল পাত্র হিসেবে হুকুম বিভিন্ন হবে। কখনো প্রয়োজন হবে,কখনো প্রয়োজন হবেনা।

এক্ষেত্রেও শুধু নিরাপত্তার কাজে নিয়জিত থাকার কারনে তারা জামাতে নামায আদায় করার মত সওয়াব পাবেনা।

(০৩)
নামাজের ক্ষতি হবেনা।
তবে সুতরা না দিয়ে নামাজীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যাবেনা। সুতরা ছাড়া অতিক্রম করলে অতিক্রম কারীর গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...