১.একটা মেয়ের সাথে প্রেম ছিল। আল্লাহ মাফ করুন। মাদ্রাসার হুজুর এটা জানতেন। তিনি বললেন যে, বিয়ে হবে না; তবে তিনি নিশ্চিত হয়ে আমাকে জানাবেন। হুজুরের বিষয়ে আমার এমন ধারণা ছিল যে তিনি দোয়া/কালাম জানেন এবং বিয়ে হবে কি না -এ বিষয়টি আমার জানার খুব আগ্রহ ছিল। (আমার আশা ছিল, বিয়ে হবে-এমন উত্তর দিবেন)। হুজুর পরে আমাকে জানালেন যে, তার পরীক্ষামতে বিয়ে হবে না। এতে আমার কিছুদিন মন খারাপ থাকে। পরে অবশ্য মন খারাপ কেটে যায় অর্থাৎ হুজুরের বক্তব্যকে মনে স্হান দেয়া হয়নি। ভবিষ্যতে বিয়ে হতেও পারে। যাই হোক, অনেক বছর আগের বিষয়। যেটুকু মনে আছে লিখলাম। আল্লাহর রহমতে এখন দ্বীনের বিষয়ে অনেক সতর্ক হয়েছি। বর্ণিত ঘটনায় শির্ক/কুফুর হয়েছে কি না জানতে চাই। কিভাবে তওবা করবো জানাবেন?
২. সন্দেহজনক গুনাহ অর্থাৎ শির্ক,কুফুর,নিফাক বা ঈমান ভঙ্গকারী বলে মনে হলে সাথে সাথে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (হাদিস: মুসনাদে আহমদ : ৮৭১০ এর আলোকে ) পাঠ করি। এতে কি তওবা এবং ঈমানের নবায়ন হয়ে যাবে? নাকি প্রতিবার আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে? উল্লেখ্য, আমার মনের মধ্যে অনুতাপ এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঈমান ভঙ্গকারী পাপ না করার ইচ্ছা রয়েছে।
৩। শুধু বাংলায় “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই” বললে কি ঈমানের নবায়ন হবে? নাকি আরবিতে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলতে হবে।
৪। ঈমানের নবায়নের জন্য “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অথবা “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই” মনে মনে বললে হবে নাকি শব্দ করে পড়তে হবে?
৫। কালিমা শাহাদাত আরবি এবং বাংলায় বিভিন্নভাবে লেখা হয়। যদি “আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু “ এইটুকু আরবিতে পড়া হয় তাহলে কালিমা শাহাদাত পূর্ণ হবে? আর যদি বাংলায় বলা হয়, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই ; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল “ তাহলে কি কালিমা শাহাদাত পূর্ণ হবে এবং ঈমানের নবায়ন হবে?
৬। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অথবা কালিমা শাহাদাত পাঠ করলাম। সুনির্দিষ্টভাবে গুণাহ সমূহের স্বীকারোক্তি না দিয়ে সাধারনভাবে সকল গুণার কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম। তাহলে কি তওবা ও ঈমানের নবায়ন হবে? অতিতের অনেক ঘটনায় শির্ক, কুফর, নিফাক কিংবা ঈমান ভংগ হতে পারে। সব ঘটনা মনেও পড়ে না, আবার কি ধরণের গুনাহ হয়েছে বুঝতেও পারি না। তাই যদি এভাবে বলা হয় যে, হে মহান আল্লাহ, দয়া করে জীবনের সকল শির্ক, কুফর, নিফাক কিংবা ঈমান ভংগকারী গুণাহসহ অন্যান্য গুণাহগুলি মাফ করে দিন-তাহলে কি তওবা হবে? অর্থাৎ সুনির্দিষ্টভাবে গুণাহসমূহের স্বীকারোক্তি না দিয়ে সাধারনভাবে সকল গুণাহর কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাইলে কি কি তওবা হবে?
৭। ৬ নং প্রশ্নে বর্ণিত উপায়ে ইমানের নবায়ন এবং তওবা করার পরও অতীতের কোন সুনির্দিষ্ট গুণাহর কথা পরবর্তিতে মনে পড়লো-যা শির্ক, কুফুর, নিফাক বা ঈমান ভংগকারী হতে পারে বলে সন্দেহ হলো। তাহলে কি পুনরায় ক্ষমা চাওয়া এবং পুনরায় ঈমানের নবায়ন করা প্রয়োজন? নাকি সতর্কতাবশত: পুনরায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো এবং ঈমানের নবায়ন করে নিবো?