আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)

১.একটা মেয়ের সাথে প্রেম ছিল। আল্লাহ মাফ করুন। মাদ্রাসার হুজুর এটা জানতেন। তিনি বললেন যে, বিয়ে হবে না; তবে তিনি নিশ্চিত হয়ে  আমাকে জানাবেন। হুজুরের বিষয়ে আমার এমন ধারণা ছিল যে তিনি দোয়া/কালাম জানেন এবং বিয়ে হবে কি না -এ বিষয়টি আমার জানার খুব আগ্রহ ছিল।  (আমার আশা ছিল, বিয়ে হবে-এমন উত্তর দিবেন)। হুজুর পরে আমাকে জানালেন যে,  তার পরীক্ষামতে বিয়ে হবে না। এতে আমার কিছুদিন মন খারাপ থাকে। পরে অবশ্য মন খারাপ কেটে যায় অর্থাৎ হুজুরের বক্তব্যকে মনে স্হান দেয়া হয়নি। ভবিষ্যতে বিয়ে হতেও পারে। যাই হোক, অনেক বছর আগের বিষয়। যেটুকু মনে আছে লিখলাম। আল্লাহর রহমতে এখন দ্বীনের বিষয়ে  অনেক সতর্ক হয়েছি। বর্ণিত ঘটনায় শির্ক/কুফুর হয়েছে কি না জানতে চাই। কিভাবে তওবা করবো জানাবেন?

২. সন্দেহজনক গুনাহ অর্থাৎ শির্ক,কুফুর,নিফাক বা ঈমান ভঙ্গকারী বলে মনে হলে সাথে সাথে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”   (হাদিস: মুসনাদে আহমদ : ৮৭১০ এর আলোকে ) পাঠ করি। এতে কি তওবা এবং ঈমানের নবায়ন হয়ে যাবে?  নাকি প্রতিবার আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে?  উল্লেখ্য, আমার মনের মধ্যে অনুতাপ এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঈমান ভঙ্গকারী পাপ না করার ইচ্ছা রয়েছে।

৩। শুধু বাংলায় “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই” বললে কি  ঈমানের নবায়ন হবে? নাকি আরবিতে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”    বলতে হবে।

৪। ঈমানের নবায়নের জন্য  “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”   অথবা “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই” মনে মনে বললে হবে নাকি শব্দ করে পড়তে হবে?

৫।  কালিমা শাহাদাত  আরবি এবং বাংলায় বিভিন্নভাবে লেখা হয়।   যদি   “আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু “ এইটুকু আরবিতে পড়া হয় তাহলে কালিমা শাহাদাত  পূর্ণ হবে? আর যদি বাংলায় বলা হয়,  “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই ;  আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে  মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও  রাসুল “ তাহলে কি কালিমা শাহাদাত  পূর্ণ হবে এবং ঈমানের নবায়ন হবে?

৬।  “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”  অথবা  কালিমা শাহাদাত   পাঠ করলাম।   সুনির্দিষ্টভাবে গুণাহ সমূহের  স্বীকারোক্তি না দিয়ে সাধারনভাবে  সকল গুণার কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম। তাহলে কি তওবা ও ঈমানের নবায়ন হবে?   অতিতের অনেক ঘটনায় শির্ক, কুফর, নিফাক  কিংবা ঈমান ভংগ হতে পারে। সব ঘটনা মনেও পড়ে না, আবার কি ধরণের গুনাহ হয়েছে বুঝতেও পারি না। তাই যদি এভাবে বলা হয় যে, হে মহান আল্লাহ, দয়া করে  জীবনের  সকল শির্ক, কুফর, নিফাক  কিংবা ঈমান ভংগকারী  গুণাহসহ অন্যান্য গুণাহগুলি  মাফ করে দিন-তাহলে কি তওবা হবে? অর্থাৎ সুনির্দিষ্টভাবে গুণাহসমূহের  স্বীকারোক্তি না দিয়ে সাধারনভাবে  সকল গুণাহর কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাইলে কি  কি তওবা হবে?

৭। ৬ নং প্রশ্নে বর্ণিত উপায়ে   ইমানের নবায়ন এবং তওবা করার পরও অতীতের কোন সুনির্দিষ্ট গুণাহর কথা  পরবর্তিতে মনে পড়লো-যা শির্ক, কুফুর, নিফাক বা ঈমান ভংগকারী    হতে পারে বলে সন্দেহ হলো। তাহলে কি পুনরায় ক্ষমা চাওয়া  এবং পুনরায়  ঈমানের  নবায়ন  করা প্রয়োজন?  নাকি  সতর্কতাবশত:  পুনরায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো এবং ঈমানের  নবায়ন  করে নিবো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
edited by
I have clicked on the link (waswasa course) but not working. Only a picture of the course showing syllabus, phone no. and enter button is found. But when I click Enter, no response. thanks.
by (565,890 points)
নাম,ইমেইল, লিখে কমেন্ট লিখে পোস্ট কমেন্ট করুন।
by (2 points)
Alam
*Emails are not allowed*

 
https://iom.edu.bd/course/waswasa/  shows an Image of the Course. Cannot be Entered into the course. thanks.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...