আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
সরকার মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য একটি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেছে। সেখানে সকল এমপিভুক্ত শিক্ষক এবং  ১ বছরের বেশি চাকরী করা খন্ডকালীন শিক্ষক দের যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে যারা এক বছরের কাছাকাছি কিন্তু বছর পূর্ন হয়নি, তাদের কেও প্রতিষ্টান থেকে প্রত্যয়ন লিখে দেওয়া হয়েছে যে তারা এক বছরের বেশি সময় থেকে চাকুরী করছেন, কারণ এই ট্রেনিং করলে নতুন কারিকুলামে ক্লাস কিভাবে করাতে হবে তারা তার কিছুই বুঝবে না। এমতাবাস্তায় এই মিথ্যা প্রত্যয়নে অনেকে ট্রেনিং করছেন। যারা কষ্ট করে ট্রেনিং করেন, তাদের আসা যাওয়া খাওয়া ও সম্মানী বাবদ কিছু টাকা সরকার দেয়। এখন যে সকল খন্ডকালীন স্যারেরা একবছরের কম চাকরী করেও,  ট্রেনিং করছেন কষ্ট করে আসা যাওয়া করছেন, তাদের জন্য কি এই টাকা জায়েজ হবে?

(প্রশিক্ষক একজনকে বলেছিলাম এটার বিষয়ে তারা বললেন, আপনার প্রতিষ্টান যদি বলেন আপনি একবছর থেকে আছপন তাহলে তো তারা টাকা দিবেই, তারা কি খোজ করবে)

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে সকল খন্ডকালীন স্যারেরা একবছরের কম চাকরী করেও ট্রেনিং করছেন কষ্ট করে আসা যাওয়া করছেন,(এই টাকা যেহেতু ট্রেনিং করার দরুন দেয়া হচ্ছে, আর তারা যেহেতু ট্রেনিং করেই টাকাটি নিচ্ছেন,কষ্ট করে আসা যাওয়া করছেন,তাই) তাদের জন্য এই টাকা গ্রহন জায়েজ হবে।

তবে প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে মিথ্যা প্রত্যয়ন লিখে নেয়া ধোকার শামিল হবে। 
বিধায় সেটি জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এবং সেই খন্ডকালীন স্যারের গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...