আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
ফরজ নামাজ গুলোর মধ্যে হোক বা সুলত নামাজ গুলোর মধ্যে কতবার নফল প্রত্যেক নামাজেরই গুরুত্ব রয়েছে এবং সমানভাবে গুরুত্ব রয়েছে কোন নামাজকে এক নামাজের থেকে উত্তম বলা কি উচিত অর্থাৎ ফরজ যেগুলো নামাজ রয়েছে প্রত্যেকটার গুরুত্ব সমান সুন্নত নামাজ যেগুলো রয়েছে প্রত্যেকটার গুরুত্ব সমান ঠিক এমন তেমনি নফল নামাজের গুরুত্ব সমান এবং আমি যতদূর জানি ফরজ নামাজের সওয়াব হয় বেশি সুন্নতে তার চেয়ে কম এবং নফলে আরো কম হয় কিন্তু আমাকে একজন বলল যে হচ্ছে নামাজের মধ্যেও হঠাৎ ফরজের মধ্যেও এক নামাজ আরেক নামাজের থেকে এরকম উত্তম মধ্য রয়েছে এই বিষয়ে আসলে কোন কিছু আছে কি কারণ এরকম করে নিজের থেকে কোন কিছু বানায় দিলে সেটা তো বেদাত হয়ে যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

ফরজ কাকে বলে?
যে বিধানটি ক্বাতয়ী তথা অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। তাকে ফরজ বলা হয়। অর্থাৎ যা আল্লাহর নির্দেশিত পালনীয় আমল হবার বিষয়ে বিন্দু পরিমাণ কোন সন্দেহ না থাকে। সেটি ফরজ। ঙযেমন নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি।ফরজ অস্বিকারকারী কাফের।
فالفرض أعم منهما (من الشرط والركن) وهو ما قطع بلزومه، (الدر المختار، كتاب الصلاة، اركان الوضوء-1/94)
وهو بمعنى قولهم: ما لزم فعله بدليل قطعى، (البحر الرائق، كتاب الطهارة-1/24)
وكذا فى منحة الخالق على البحر الرائق-1/24)
فرضية: وهى ما لا يحتمل زيادة ولا نقصانا، ثبت بدليل لا شبهة فيه: (نور الأنوار-166)

ওয়াজিব কাকে বলে?
যেই বিধানটি জন্নী দলীল তথা ফরজের তুলনায় দুর্বল দলীল দ্বারা প্রমাণিত।ওয়াজিব অস্বিকারকারী গোমরা এবং ফাসিক হয়। কাফের হয় না।
واجب: وهو ما ثبت بدليل فيه شبهة، (قمر الأقمار حاشية نور الأنوار-166)
وأما الحنفية فيقولون……. والواجب، فهو ما ثبت بدليل ظنى فيه شبهة، (أصول الفقه الإسلامى-1/47)

সুন্নত কাকে বলে?
সুন্নতে মুআক্কাদা বলা হয়, যে আমলকে রাসূল সাঃ ইবাদত হিসেবে পাবন্দীর সাথে করেছেন। কখনো ওজর ছাড়া ছেড়ে দিয়েছেন বা নিজেতো ছাড়েননি কিন্তু যে ছেড়ে দিয়েছে তাকে ভর্ৎসনা করেননি। এরকম আমলকে সুন্নতে মুআক্কাদা বলা হয়। {আততাআরিফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ-৩২৮, আলমুজিজ ফি উসুলিল ফিক্বহ-৪৩৯-৪০}সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই।সুন্নত অস্বিকারকারী ফাসিক এবং গোনাহগার হয়। কিন্তু তাচ্ছিল্য করে অস্বিকার করলে কাফির হয়ে যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/400

সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা বা নফল বলা হয়, যে আমলকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' মাঝেমাঝে করেছেন এবং মাঝেমাঝে ছেড়েও দিয়েছেন।

وَاَلَّذِي ظَهَرَ لِلْعَبْدِ الضَّعِيفِ أَنَّ السُّنَّةَ مَا وَاظَبَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -، لَكِنْ إنْ كَانَتْ لَا مَعَ التَّرْكِ فَهِيَ دَلِيلُ السُّنَّةِ الْمُؤَكَّدَةِ، وَإِنْ كَانَتْ مَعَ التَّرْكِ أَحْيَانًا فَهِيَ دَلِيلُ غَيْرِ الْمُؤَكَّدَةِ، (رد المحتار، كتاب الطهارة، اركان الوضوء-1/105)
وقال سنة الهدى هى التى واظب عليها النبى صلى الله عليه وسلم تعبدا أو ابتغاء مرضات الله تعالى مع الترك مرة أو مرتين بلا عذر، أو لم يترك أصلا ولكنه لم ينكر التارك، (قمر الأقمار حاشية نور الأنوار-167، وكذا فتح القدير، كتاب الطهارة-1/21، وكذا فى البحر الرائق، كتاب الطهارة، اركان الوضوء-1/132، 2/33، وفى اصول الفقه الإسلامى-1/86)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গুরুত্বের দিক দিয়ে সর্বপ্রথম ফরয তারপর ওয়াজিব তারপর সুন্নত এবং তারপর নফল। ফরযের মধ্যেও তারতম্য রয়েছে।যেমন, শুক্রুবার দিন ফজরের নামায মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা সবচেয়ে বেশী মর্যাদাবান। সুতরাং ইবাদতের মধ্যে তারতম্য রয়েছে, এবং এটা কুরআন হাদীস থেকে চয়েন করা হয়েছে। ফরয ওয়াজিব সুন্নত এগুলো দলিলের দিকে লক্ষ্য করে ফুকাহায়ে কিরাম নির্ধারণ করেছেন। আর আল্লাহ তাআলাও পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ও রাসুল সাঃ এর কথার পর ফুক্বাহায়ে কেরামের কথা মানার পরিস্কার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ [٤:٥٩]
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যকার বিজ্ঞ ব্যক্তি [মুজতাহিদ, ফক্বীহ] গণের। {সূরা নিসা-৫৯}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...