আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার ভাইয়ের থেকে আমার মা কিছু টাকা নেয় খরচ করার জন্য।ধার হিসেবে না,একেবারে।ঐ টাকা থেকে মা কে বলে আমি কিছু টাকা ব্যবহার করি ভাইকে না জানিয়ে। আমার ভাই যখন জানতে পারে তখন সে অনেক রাগ করে এবং বলে যে সে আমার থেকে টাকা ফেরত নিবে না এবং কেয়ামতের দিন সে টাকার দাবি ছাড়বেনা। এরপর আমি টাকা ফেরত দিলে সে টাকা নেয় না।

এখন আমার করণীয় কি?যদি টাকা গরিবের মাঝে দিতে হয় তবে কি পুরো টাকা একবারে দিতে হবে নাকি ভেঙে ভেঙে দিলেও হবে?

আমি চাইনা কেয়ামতের দিন কারো কোনো দাবি থাকুক আমার উপর।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার ভাই যদি আপনার মাকে একেবারেই ঐ টাকা দিয়ে দেন, তাহলে আপনার মা ঐ টাকা মালিক হয়ে যাবেন।পরবর্তীতে যেকোনো খাতে তিনি ঐ টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাকেও দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ভাইর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না। আপনার ভাইকে ঐ টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে না।

তবে যদি আপনার ভাই আপনার মাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে না দেয়, বরং শুধুমাত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়, যাকে এবাহত বলা হয়ে থাকে, তাহলে তখন আপনার মা ঐ টাকা মালিক হবেন না। সুতরাং আপনার জন্য ঐ টাকা থেকে  কিছু গ্রহণ করা জায়েয হবে না। যদি বিষয়টা এমন হয়, এবং এমতাবস্থায় আপনি যেহেতু ভাইকে টাকা দিতে চেয়েছেন, কিন্তু ভাই নিচ্ছে না, তাহলে ভাইয়ের নামে সদকাহ করে দিলেও হবে। আখেরাতে আপনার কোনো দায়বদ্ধতা থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...