স্বপ্নটা কি শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে নাকি ব্যক্তির জাগ্রত অবস্থায় মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে?

Question

আসসালামু আলাইকুম উস্তায।

১) নিচের হাদিস অনুযায়ী আমল করার পরেও যদি সেই রুমে ঘুমানোর পর কোনো ব্যক্তি খারাপ ওয়াসওয়াসা/ খারাপ চিন্তাযুক্ত স্বপ্ন দেখে, তাহলে সেই স্বপ্নটা কি জাগ্রত অবস্থায় ব্যক্তির মনে আসা ওয়াসওয়াসা/ কুমন্ত্রণার ভিত্তিতেই হয়ে থাকে? নাকি এই খারাপ স্বপ্নটাও শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে?
.

২) আলোচ্য হাদিসের উপর আমল করার মাধ্যমে সেই ঘরে অবস্থানরত ব্যক্তি কি নিজের সাথে থাকা কারিন জ্বিন থেকে মুক্ত থাকতে পারে? নাকি কারিন জিন তখনও তার সাথেই থাকে কিন্তু অন্যান্য খারাপ জ্বিন থেকে মুক্ত থাকা যায়?
.

'যে ঘরে তিন রাত এ দুটি আয়াত (বাকারার শেষ দুই আয়াত) তিলাওয়াত করা হয় শয়তান সেই ঘরের নিকটেও আসতে পারে না। [সুনানে তিরমিযি: ২৮৮২]

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

নু’মান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِأَلْفَىْ عَامٍ أَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ خَتَمَ بِهِمَا سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَلاَ يُقْرَآنِ فِي دَارٍ ثَلاَثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبُهَا شَيْطَانٌ "

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ্ তা’আলা একটি কিতাব লিপিবন্ধ করেছেন। এর থেকে তিনি দু’টো আয়াত নাযিল করেছেন। যে দু’টোর মাধ্যমেই তিনি সূরা বাকারা খতম করেছেন। যে বাড়িতে তিন রাত তা পাঠ করা হবে শয়তান সে বাড়ির নিকটবর্তী হয় না।( তিরমিজী- ২৮৮২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১)

প্রশ্নে বর্ণিত এই প্রকারের খারাপ স্বপ্নটা জাগ্রত অবস্থায় ব্যক্তির মনে আসা ওয়াসওয়াসা/ কুমন্ত্রণার ভিত্তিতেই হয়ে থাকে।

(২)

এখানে শয়তান দ্বারা ক্ষতিকারক উদ্দেশ্য। সুতরাং ক্ষতিকারক হতে পারে, এমন সকল শয়তান থেকে ঘর হেফাজতে থাকবে।

(৩) 

ক্ষতিকারক সকল প্রকার জ্বীন থেকে আল্লাহ রক্ষা কনবেন।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।