ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রোযাবস্থায় ভেসেলিন বা লিজেল ব্যবহার করাতে কোনো সমস্যা নাই। কেননা তা সাধারণত গলা দিয়ে পাকস্থলীতে গিয়ে প্রবেশ করে না।তবে হ্যা যদি তা এত অধিক পরিমাণে হয় যে, তা মূখের লালার সাথে মিলিত হয়ে আধিক্যতার সাথে পাকস্থলীতে গিয়ে প্রবেশ করে, তাহলে তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
ঠিক তেমনিভাবে নামাযেও কোনো সমস্যা হবে না।তবে লালার চেয়ে ভেসেলিনের আধিক্য থাকলে এবং গিলে ফেললে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلَوْ ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায় এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২) আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
(২)
শাহ ওয়ালি উল্লাহ দেহলভী রহ. তার পিতার কথা "আল-কাউলুল জামিল" গ্রন্থে উল্লেখ করে লিখেছেন,
وسمعته (يريد والده) يقول: ثلاث وثلاثون آية تنفع من السحر، وتكون حرزا من اللصوص والسباع، أربع آيات من أول البقرة، وآية الكرسي وآيتان بعدها إلى خالدون، وثلاث من آخر البقرة، وثلاث من الأعراف {إن ربكم الله} إلى {المحسنين}، وآخر بني إسرائيل {قل ادعو الله أو ادعو الرحمن}، وعشر آيات من أول الصافات إلى {لازب}، وآيتان من سورة الرحمن {يا معشر الجن} إلى {تنتصران}، وآخر سورة الحشر {لو أنزلنا هذا القرآن}، وآيتان من {قل أوحي} {وأنه تعالى جد ربنا} إلى {شططا}، فهذه هي الآيات المسميات بثلاث وثلاثين آية
আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ৩৩ টি আয়াত এমন আছে যা যাদু-টোনা থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে উপকারী এবং চোর-ডাকাত ও হিংস্র প্রাণী থেকে আত্মরক্ষার মাধ্যম। আয়াতগুলো এই,
আল-কাউলুল জামিল পৃষ্ঠা ৪০; মানযিল শুরুতে তালহা কান্ধলভী রহ. এর ভূমিকা পৃষ্ঠা ২]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
৩৩ আয়াত নামে প্রচলিত যে আ'মলের কথা পাওয়া যায় তা বুজুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণিত।সেটা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। সুতরাং দ্বীনের অংশ বা জরুরী মনে না করলে এটার উপর আমল করা যেতে পারে।