জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
ﺇﻥ ﺑﻨﻲ ﺇﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﺗﻔﺮﻗﺖ ﻋﻠﻰ ﺛﻨﺘﻴﻦ ﻭﺳﺒﻌﻴﻦ ﻣﻠﺔ ﻭﺗﻔﺘﺮﻕ ﺃﻣﺘﻲ ﻋﻠﻰ ﺛﻼﺙ ﻭﺳﺒﻌﻴﻦ ﻣﻠﺔ ﻛﻠﻬﻢ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺇﻻ ﻣﻠﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻭﻣﻦ ﻫﻲ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﻣﺎ ﺃﻧﺎ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻲ ( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ - ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻻﻳﻤﺎﻥ، ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻓﺘﺮﺍﻕ ﺍﻷﻣﺔ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ
অর্থ: “আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! যে একটি দল নাযাত প্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি এবং আমার সাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মত ও পথের উপর যারা কায়েম থাকবে, (তারাই নাযাত প্রাপ্ত দল)।”
(তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯, আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০)
,
উলামায়ে কেরামগন জাহামিয়্যাহ দেরকে সেই ৭২ দলের অন্তর্ভুক্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন।
,
জাহম ইবনে ছাফওয়ান এ সম্প্রদায়ের নেতা বলে এদেরকে জাহমিয়াহ বলা হয়।
,
জাহমিয়াহ ফিরকার আক্বীদাঃ
জাহমিয়াহ সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক আক্বীদা হলঃ
(১) আল্লাহ পাককে জানা ও আল্লাহ পাকের নিকট যা রয়েছে তা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকাই ঈমান।
(২) কুরআন শরীফ আল্লাহ পাকের মাখলুক বা সৃষ্টি।
(৩) আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম বা অন্য করো সাথে কথা বলেন নাই।
(৪) আরশ-কুরসী, হাশর-নাশর, মীযান-শেষ বিচার বলতে কিছু নেই।
(৫) পরকালে আল্লাহ পাক কারো দিকে তাকাবেন না, কারো সাথে কথা বলবেন না, কারো সাথে দেখাও দিবেন না।
(৬) কবীরা গুনাহ করলে ফাসেক হয়না।
,
(০২)
আলী হাসান উসামা(হাফি,) খুব ভালো আলেম।উনাদের আকিদা বিশুদ্ধ। তারা উম্মাহর নিষ্ঠাবান খাদেম।উনাদের রচনাবলী অধ্যায়নযোগ্য। উনাদের বয়ানও শোনা যাবে।
উনার কিছু বক্তব্য, ব্যখ্যাসাপেক্ষ্য বিষয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(ক)
আমার জানা মতে তাদের দাবী সঠিক নয়।
(খ)
আমার জানা মতে তার আকীদা যেহেতু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বহির্ভুত নয়,তাই তার থেকে আকীদা গ্রহন করা যাবে।
তবে যদি তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা বহির্ভুত কিছু বলেন,তাহলে সেটি গ্রহন করা যাবেনা।
,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ