আল্লাহ তাআলা বলেন,
বল, ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশ্ত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র।’ (আন-আম : ১৪৫)
সুরা মায়েদার ০৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
حرمت عليكم الميتة والدم ولحم الخنزير،،
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা হয়েছে। এছাড়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরা, আঘাত পেয়ে মরা, উপর থেকে পড়ে মরা, শিংয়ের আঘাতে মরা এবং হিংস্র জন্তুর খাওয়া প্রাণী এগুলোও হারাম।
মুরগীর পেটে থাকা নাড়িভুরি তথা ময়লা বের করার পর যদি মেশিন এ ড্রেসিং করে তাহলে তো উক্ত মুরগী খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ময়লা বের না করে যদি উত্তপ্ত গরম পানিতে চুবানো হয়, আর তাতে নাড়িভুরির ময়লা গোস্তের সাথে মিলে যায়, তাহলে উক্ত মুরগী নাপাক সাব্যস্ত হবে, এবং তার গোস্ত খাওয়া জায়েজ হবে না।
আমাদের দেশের দোকানগুলোতে সাধারণত যে পদ্ধতিতে মুরগী মেশিন এ ড্রেসিং করা হয় তাতে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয বা মাকরূহ হয়ে যায় না।
কারণ, এক্ষেত্রে মুরগী যেই পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়,সেটা সেও পরিমানের উত্তপ্ত গরমও নয়,এবং গরম পানিতে যতটুকু সময় চুবিয়ে রাখা হয় এতে মুরগীর ভেতরের নাপাকীর প্রভাব গোশতে পৌঁছে না। বরং এর দ্বারা শুধু লোমকূপগুলো ঢিলা ও নরম হয়ে যায়। অবশ্য যদি এত বেশি সময় তপ্ত গরম পানিতে মুরগী চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে নাপাকীর প্রভাব ও গন্ধ গোশতের ভেতর চলে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয হয়ে যাবে। আর যেসব মুরগী সাধারণ নিয়মে ড্রেসিং করা হয় (অর্থাৎ অধিক সময় ফুটন্ত পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় না) সেগুলোও রান্না করার পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে পাক করে নেওয়া জরুরি।
★সতর্কতামূলক প্রচলিত পদ্ধতিতে মেশিন এ ড্রেসিং না করাই উত্তম।
হ্যাঁ, একান্ত যদি করতেই হয়, তাহলে পূর্বের ব্যবহৃত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি গরম করে এত অল্প সময় চুবিয়ে রাখবে, যাতে ভিতরের নাপাকি গরম পানির প্রভাবে গোস্তের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে।
জবেহ করার পর গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা রক্ত ও পেটের নাড়িভুঁড়ি দূর করে নতুন পানিতে ড্রেসিং করতে হবে, এটাই ড্রেসিংয়ের সর্বোত্তম পদ্ধতি।
(ফাতাওয়া দারুল উলূম হাটহাজারী ফতওয়া নং ০৫)
আর যদি পানি তেমন উত্তপ্ত না হয়,যেটি আমাদের দেশের প্রায় দোকানেরই অবস্থা, যে সেখানে সামান্য গরম পানি ব্যবহার করা হয়,তেমন উত্তপ্ত হয়না,সেই পানিতে দোকানের কর্মকর্তা নিজ হাতও দিতে পারে,তাই অবস্থা এমন হলে প্রচলিত পদ্ধতিও তেমন কোনো সমস্যাকর নয়।
وإن كانت مما يطبخ كاللحم والحنطة فإن أصابتها نجاسة وطبخت بها فلا تطهر . بعد الغليان أبدا على المفتى به لأن أجزاءها تكون قد تشربت النجاسة حينئذ ومن ذلك الدجاجة إذا غليت قبل شق بطنها فإنها لا تطهر أبدا لتشرب أجزائها النجاسة فيجب شق بطنها وإخراج ما فيها وتطهيرها بالغسل قبل غلبها (الفقه على المذاهب الأربعة – الجزيري- كتاب الطهارات، مبحث فيما تزال به النجاسة وكيفية إزالتها-1/25)
যদি গোশতের সাথে নাপাকি লেগে থাকে,এবং সেটা পাকানো হয়,তাহলে সেটি পবিত্র হবেনা।,,