আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, দয়া করে নিচের প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হবে -
১. কেও যদি অসতর্কতা ভাবে কাউকে বলে যে, লেখা পড়া করে কি হবে ? তাহলে কি কোন ইমানে সমস্যা হবে?

২. ভালো ভাবে মাসালা না জেনে  বাজারে  ড্রেসিং করা মুরগি কে হারাম বললে কি কোন ইমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
তাহলে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
https://ifatwa.info/6904/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
আল্লাহ তাআলা বলেন, 

বল, ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশ্ত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র।’ (আন-আম : ১৪৫) 

সুরা মায়েদার ০৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
حرمت عليكم الميتة والدم ولحم الخنزير،،

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা হয়েছে। এছাড়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরা, আঘাত পেয়ে মরা, উপর থেকে পড়ে মরা, শিংয়ের আঘাতে মরা এবং হিংস্র জন্তুর খাওয়া প্রাণী এগুলোও হারাম। 

মুরগীর পেটে থাকা নাড়িভুরি তথা ময়লা বের করার পর যদি মেশিন এ  ড্রেসিং করে তাহলে তো উক্ত মুরগী খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ময়লা বের না করে যদি উত্তপ্ত গরম পানিতে চুবানো হয়, আর তাতে নাড়িভুরির ময়লা গোস্তের সাথে মিলে যায়, তাহলে উক্ত মুরগী নাপাক সাব্যস্ত হবে, এবং তার গোস্ত খাওয়া জায়েজ হবে না।

আমাদের দেশের দোকানগুলোতে সাধারণত যে পদ্ধতিতে মুরগী মেশিন এ ড্রেসিং করা হয় তাতে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয বা মাকরূহ হয়ে যায় না। 

কারণ, এক্ষেত্রে মুরগী যেই পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়,সেটা সেও পরিমানের উত্তপ্ত গরমও নয়,এবং গরম পানিতে যতটুকু সময় চুবিয়ে রাখা হয়  এতে মুরগীর ভেতরের নাপাকীর প্রভাব গোশতে  পৌঁছে না। বরং এর দ্বারা শুধু লোমকূপগুলো ঢিলা ও নরম হয়ে যায়। অবশ্য যদি এত বেশি সময় তপ্ত গরম পানিতে মুরগী চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে নাপাকীর প্রভাব ও গন্ধ গোশতের ভেতর চলে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয হয়ে যাবে। আর যেসব মুরগী সাধারণ নিয়মে ড্রেসিং করা হয় (অর্থাৎ অধিক সময় ফুটন্ত পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় না) সেগুলোও রান্না করার পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে পাক করে নেওয়া জরুরি।

★সতর্কতামূলক প্রচলিত পদ্ধতিতে মেশিন এ ড্রেসিং না করাই উত্তম।
হ্যাঁ, একান্ত যদি করতেই হয়, তাহলে পূর্বের ব্যবহৃত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি গরম করে এত অল্প সময় চুবিয়ে রাখবে, যাতে ভিতরের নাপাকি গরম পানির প্রভাবে গোস্তের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে।
 জবেহ করার পর গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা রক্ত ও পেটের নাড়িভুঁড়ি দূর করে নতুন পানিতে ড্রেসিং করতে হবে, এটাই ড্রেসিংয়ের সর্বোত্তম পদ্ধতি। 
(ফাতাওয়া দারুল উলূম হাটহাজারী ফতওয়া নং ০৫)

আর যদি পানি তেমন উত্তপ্ত না হয়,যেটি আমাদের দেশের প্রায় দোকানেরই অবস্থা, যে সেখানে সামান্য গরম  পানি ব্যবহার করা হয়,তেমন উত্তপ্ত হয়না,সেই পানিতে দোকানের কর্মকর্তা নিজ হাতও দিতে পারে,তাই অবস্থা এমন হলে প্রচলিত পদ্ধতিও তেমন কোনো সমস্যাকর নয়।   

وإن كانت مما يطبخ  كاللحم والحنطة فإن أصابتها نجاسة وطبخت بها فلا تطهر . بعد الغليان  أبدا على المفتى به لأن أجزاءها تكون قد تشربت النجاسة حينئذ ومن ذلك الدجاجة إذا غليت قبل شق بطنها فإنها لا تطهر أبدا لتشرب أجزائها النجاسة فيجب شق بطنها وإخراج ما فيها وتطهيرها بالغسل قبل غلبها (الفقه على المذاهب الأربعة – الجزيري- كتاب الطهارات،  مبحث فيما تزال به النجاسة وكيفية إزالتها-1/25)
যদি গোশতের সাথে নাপাকি লেগে থাকে,এবং সেটা পাকানো হয়,তাহলে সেটি পবিত্র হবেনা।,,

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত ব্যাক্তির ঈমানের সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (50 points)

আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আমাকে মাফ করে দিবেন অতিরিক্ত প্রস্ন করার জন্য -

১. আমার বাসা গাজীপুরে। গাজীপুরে কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সভা হয়। আমার এক আত্মীয় সেখানে গিয়েছিল। সে আসার পর আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সেখানকার কি অবস্থা। আমি তখন তাকে বললাম আসলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে কারও সাহসে কুলায় না বা সাহস পায় না [আমি পুরটা মনে করতে পারছি না] সম্ভবত । পরে জিজ্ঞাস করলাম সেখানে কি বিক্ষোভ জোরালো হয়েছি কিনা ইত্যাদি। আমার আত্মীয় বলল হ্যা বিক্ষোভ জোরালো হয়েছি। এরপর আমার চিন্তা হল আমার এভাবে মন্তব্য করার দরুন কি আমার কথা আলেমদের বিপক্ষে গেল? অর্থাৎ আমি বলেছেলাম - আসলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে কারও সাহসে কুলায় না বা সাহস পায় না।এই ধরনের একটি মন্তব্য। [আমি পুরটা মনে করতে পারছি না]

আমি বুঝতে পারছি এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি, আমি অনুতপ্ত। কিভাবে যে এমন করলাম বুঝলাম না।

এতে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে? 

by (565,890 points)
না,এতে ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...