আসসালামু আলাইকুম। আমি একটি আইটি এজেন্সিতে কাজ করছি ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনার হিসাবে। আমার অফিস ১০০% হালাল প্রজেক্ট নিয়েই কাজ করে। তারা হারাম কোন প্রজেক্টের কাজ করে না। যেমন, মিউজিক, ব্যাংক, ক্রিপ্টো - এগুলো চরমভাবে এভয়েড করা হয়। আমার অফিস ফাইভারের মাধ্যমে ক্লাইন্ট সংগ্রহ করে, ৯০% ক্ষেত্রেই। উল্লেখ্য যে, ফাইভার একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান। যারা ইসরাইল সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করে। এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ইসরাইলের অর্থনীতিতে অবদান রাখে। ফাইভারের ক্লাইন্ট বিশ্বের যে কেউ হতে পারে মুসলিম-অমুসলিম। এবং সার্ভিস প্রোভাইডারও যে কেউ হতে পারে মুসলিম-অমুসলিম। ফাইভার মুলত ক্লাইন্ট ও সার্ভিস প্রোভাইডারের মাঝে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। বদলে তারা কিছু টাকা কেটে নেয়। প্রতি প্রজেক্টের ২০%। আমাদের দেশে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ফ্রিলান্সিং করে। যাদের বেশীরভাগই ফাইভারে কাজ করে। এখন আমার প্রশ্ন হলো,
১/ বর্তমান অবস্থায় আমার জন্য কি জায়েজ হবে এমন এজেন্সিতে কাজ করা যেখানে ফাইভার থেকে কাজ নেয়া হচ্ছে ?
২/ যে কাজ গুলো ফাইভার থেকে নেয়া হচ্ছে না, সেগুলোতে কাজ করতে বাধা আছে কিনা ?
৩/ যদি ফাইভারে কাজ করার ফতোয়া না-জায়েজ আসে এই মুহুর্তে, তবে কোন কোন মুহুর্তে ফতোয়া জায়েজ আসবে ?
৪/ আমাদের আইটি সেক্টর মোটামুটিভাবে পশ্চিমাদের উপরেই নির্ভরশীল, ক্লাইন্ট মুলত পশ্চিমারাই। যাদের বেশীরভাগই ইসরাইলের সমর্থক। কোন না কোন ভাবে তারা ইসরাইলকেই সাপোর্ট দিবে নৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে। তাহলে আইটি সেক্টরে কাজ করার বিধান কি ?
৫/ টেকনোলজির প্রায় সব কিছুই তাদের, আমরা এসব ব্যবহারের মাধ্যমে কোন না কোন ভাবে তাদের সাহায্য করেই যাচ্ছি, আমরা তো সব বয়কটও করতে পারছি না, মাকড়শার জালের মত আমাদের ঘিরে নিয়েছে, আমাদের করণীয় কি এখন ?
যাজাকুমুল্লাহু খইর।