কাজ যদি বৈধ হয়,তাহলে বিনিময়ে হারাম উপার্জনকারীর কাজ হওয়ার দরুণ উক্ত কাজ হারাম হবে না। ঐ ব্যক্তি তার হারাম উপার্জন থেকে বিনিময় দিলেও উক্ত বিনিময় গ্রহণ করা কোনো মুসলমানের জন্য হারাম হবে না। তবে কোনো হারাম কাজ করা আঞ্জাম দেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য জায়েয হবে না।
عن سويد بن غفلة أن بلالا قال لعمر : إن عمالك يأخذون الخمر والخنازير في الخراج ، فقال : لا تأخذوها منهم ، ولكن ولوهم بيعها ، وخذوا أنتم من الثمن- قال أبو عبيد : " يريد أن المسلمين كانوا يأخذون من أهل الذمة الخمر والخنازير من جزية رءوسهم وخراج أرضيهم بقيمتها ثم يتولى المسلمون بيعها ، فهذا الذي أنكره بلال ونهى عنه عمر ، ثم رخص لهم أن يأخذوا ذلك من أثمانها إذا كان أهل الذمة المتولين لبيعها ; لأن الخمر والخنازير مال من أموال أهل الذمة ولا يكون مالا للمسلمين .
মর্মার্থ- হযরত উমর রাযি. আহলে যিম্মা কাফির থেকে তাদের বিদ্যমান হারাম মালকে বিক্রি করে সেই মালের মূল্যকে জিযয়া হিসেবে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছেন।
(আহকামু আহলিয-যিম্মাহ-১/১৮৩, এ’লাউস-সুনান-১৪/১৩৪, কিতাবুন-নাওয়াযিল-১২/৫১৭))
★এক্ষেত্রে বেতন নেওয়া জায়েজ আছে, তবে কোনো খাবার ইত্যাদি হাদিয়া হিসেবে গ্রহন করা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের ফতোয়ার স্বপক্ষে দারুল উলুম দেওবন্দ এর স্পষ্ট ফতোয়া রয়েছে।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 176692 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
ফতোয়াটির লিংক কমেন্ট বক্সে দেয়া আছে।
সুতরাং সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেম বলছেন যে এই উপার্জন আপনার জন্য হারাম একথা ভূল।
বরং এ উপার্জন হালাল,এটিই সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত। তবে কেহ যদি উক্ত উপার্জন থেকে বেঁচে থাকে,তাহলে এটি যে উত্তম,সেই ব্যপারে কাহারো কোনো দ্বীমত নেই।
(০২)
রোজা অবস্থায় রোজা ভংগের নিয়ত করলেই তা ভেংগে যায়
এ কথাটি স্পষ্ট ভূল,ভিত্তিহীন।
হানাফি মাযহাবের কোথাও এমন মাসয়ালা পাইনি।