ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন
এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/198
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুই দেশের নোটের বিনিময় 'আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল' কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যর ভিত্তিতেই হওয়া চাই।যেমন 1$ সমান ১১০ টাকা।তাছাড়াও যদি কমবেশের উপর উভয় সম্মত হন, তাহলে সেটাও জায়েয।তবে শর্ত হল উভয়ের যে কেউ একজন মজলিসে মুদ্রা কবজা/হস্তগ্রত করবেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14067
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
payoneer mastercard এর মাধ্যমে জিনিস ক্রয় করা যাবে। ১৫ ডলার এর জন্য আপনি যদি তাকে প্রতি ডলারে ১০৫রেট করে মোট ১৫৭৫ টাকা দেন,এবং সে তাতে সন্তুষ্ট হয়,তাহলে সেটা জায়েয হবে, সুদ হবে না।
(২)
সেই ব্যক্তি যদি আপনাকে আগে ১৫ ডলার দিয়ে দেয়, আর পরে ১ দিন পর আপনি যদি তাকে নগদ app এর মাধ্যমে তাকে ১৫৭৫ টাকা দেন, তাহলে সেটাও জায়েয হবে।
(৩)
যদি ১৫৭৫ টাকার জায়গায় তাকে ১৫৮০ টাকা দেন, তাহলে সেটাও জায়েয হবে।
(৪)
কেউ একজন যদি আপনাকে ১৫ ডলার দিয়ে সাহায্য করে, এবং তাকে বলেন যে, ২ বা ৩ দিন পর আপনি তাকে ১০৫ টাকা ডলার দিয়ে দিবেন। এবং সে তাতে রাজি হয়ে যায়। তাহলে এমন লেনদেনও জায়েয হবে।
(৫)
আলোচনার মাধ্যমে কমবেশ করা জায়েয হবে।