ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সন্তানের উপর মাতাপিতার অনেক হক রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, সন্তান মাতাপিতার বাধ্য হবে।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)
(২) পিতৃ গৃহে একজন কন্যার জন্য কাজ করা নৈতিক দায়িত্ব এবং মাতাপিতার খেদমত করে জান্নাত লাভের সুপ্রিয় সুযোগ। যেমন, ঘর গোছানো, রান্না করা,কাপড় ধৌত দেয়া,ঘর মোছা কিংবা সংসারের সকল কাজ কন্যার নৈতিক দায়িত্ব এবং ক্ষেত্রভেদে ওয়াজিবের পর্যায়ভুক্ত হবে।
(৩) নিজেকে সব সময় ছোট রাখার জন্য অন্য কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়। বরং নিজেকে সর্বদা ছোট মনে করা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হওয়া উচিৎ ও কাম্য।
(৪) হঠাৎ প্রয়োজনে নিমপাতা, জবা ফুল কিংবা এমন কিছু যদি কেউ অন্য কারো গাছ থেকে ছিড়ে নেয়, যা সে যদি চেয়ে নিলে হয় সবাই পাগল বলবে কিংবা হাসাহাসি করে তাচ্ছিল্য করবে, এমতাবস্থায়ও সে চেয়ে নিবে।
(৫)বাবা মা জীবিত থাকলে যদি কোন সন্তানকে সম্পদ দিতে চায়, তবে সব সন্তানদের সমান সমান দেওয়া জরুরী নয়।