আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)

আসসালামু'আলাইকুম, 

প্রসাব করার পর, ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনের চেষ্টা করি কিন্তু প্রসাব একটু একটু করে আসতেই থাকে। একটু হাঁচি, কাঁশি দিলেই হালকা করে প্রসাব পুরুষাঙ্গের মাথায় এসে যায়। পরে টিস্যু দিয়ে মুচলেও বারবার টিস্যুর সাথে একটু একটু আসতেই থাকে। কোনোরকম বন্ধ হয় না। তাই আমি কোনোরকম এর থেকে বিরত থেকে নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এভাবে কতক্ষণ পারবো। নামাজ পড়াকালীন ও অনুভব হয়  এরকম। 

এটার জন্য ডাক্তার দেখিয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এই দুয়েকদিন আবার সমস্যা দেখা দিছে।

এখন এমতাবস্থায় আমি কীভাবে নামাজ পড়বো? সন্দেহ নিয়ে এই দুয়েকদিন সব নামাজ পড়ছি। আল্লাহ মালুম হবে কিনা।

আমার নামাজ পড়ার বিধান কী হবে? যতদিন আল্লাহ চাহে তো সুস্থ হয় নি ততদিন কীভাবে পবিত্রতা অর্জন করতঃ নামাজ পড়বো? একটু কষ্ট করে জানালে উপকৃত হতাম। 

জাযাকাল্লাহু খায়র।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক প্রস্রাব নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ নামাযের সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও প্রস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতিত দু রা'কাত নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবে। সুতরাং আপনি মা'যুর ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবেন।

মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে। পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1897

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি নামাযের অনেক পূর্বে বা নামাযের পর প্রস্রাব করার চেষ্টা করবেন। নামাযেরর কিছুক্ষণ পূর্বে যদি কখনো প্রস্রাবের প্রয়োজনিয়তা পরে যায়, আর তখন প্রস্রাবের ফোটা ধারাবাহিক নির্গত হতে থাকে, তাহলে দেখবেন, নামাযের সবচেয়ে ছোট্ট ওয়াক্তের সম্পূর্ণ সময়টাতেই কি প্রস্রাব নির্গত হচ্ছে? যদি নির্গত হয়, তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবেন। তখন প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অজু- ই যথেষ্ট। আর যদি সমস্ত ওয়াক্ত জুরে নির্গত না হয়, তাহলে আপনি মা'যুর হবে না, বরং প্রয়োজনে কাপড় পাল্টিয়ে, অজু করে নামায পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 120 views
0 votes
1 answer 586 views
...