আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
#হাস মুরগির পেটের ভিতর থেকে যেই নাড়ী দিয়ে ডিম বাইরে বের হয়ে আসে ঐ নাড়ি খাওয়া হালাল না মাকরুহ? #আমাদের দেশে গরুর নাড়ীভুড়ী থেকে গোবর ফেলে দেবার পর ঠানডা পানি দিয়ে ধোবার পরে ও যথেষ্ট গোবরের নির্যাস লেগে থাকার কারনে যেই প্রক্রিয়ায় গরম পানি দিয়ে সাফ করা হয় এতে তো গোবরের নির্যাস নাড়ীভূড়ীতে ঢুকে যায় এতে কি ঐভূড়ি খাওয়া হালাল হয়?অথচ এভাবে ছাড়া অন্য ভাবে সাফ করার ঊপায় নেই। #মৃত ব্যক্তিকে যদি এক খতম কোরান ইসালে ছওয়াব করি তাহলে সব ছোয়াব কি মৃতই পাবে যে ছোয়াব বখশিয়ে দিল সে এক খতমের ছোয়াব পাবেনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হালাল প্রাণীর যে সমস্ত অঙ্গ খাওয়া হারাম।এ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/339
এই সাত জিনিষ ব্যতীত আর কোনো জিনিষ মাকরুহ নয়।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৪০৬)
এই সাত জিনিষ ব্যতীত বাদ বাকী সবগুলো খাওয়া জায়েয।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৪/৪২৭)

ভূড়ি খাওয়া নাজায়েয নয়।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৭/২৯২)

হাস মুরগির পেটের ভিতর থেকে যেই নাড়ী দিয়ে ডিম বাইরে বের হয়ে আসে ঐ নাড়ি খাওয়া মাকরুহ,যেহেতু সে রাস্তা দিয়ে হাস মোরগের বিষ্টা বাহির হয়।

মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ করতে পারেন।কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করে তাদের নামে বখশিয়ে দিতে পারেন।হ্যা দু'আ নিয়তে আরো অনেক কিছুই করতে পারেন।
তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে তাদের নামে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করে দেয়া।এবং তাদের নামে রাস্তাঘাট ও চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ সহ যাবতীয় সমাজসেবা মূলক কাজ করা। অর্থাৎ সর্ব প্রকার ভালো কাজ করে তাদের নামে সওয়াব বখশিয়ে দেয়া।তবে টাকার বিনিময়ে খতমে কোরাআন বা অন্য কোরো খতম করিয়ে ঈসালে সওয়াব করানো জায়েয হবে না।
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
ﻭﺃﺧﺬ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺸﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﺯﻣﺎﻥ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻼ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺣﺮﻣﺘﻪ ﻭﺑﻄﻼﻥ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﺑﻪ، ﻭﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﻠﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ-
আল্লাহর যিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করা মাকরুহ।যে প্রথা বর্তমান সময়ে লক্ষ্য  করা যাচ্ছে। এরকম প্রথা/রুসুম চালু হয়ে গেলে সেটা হারাম হবে।এবং এর ওসিয়ত বাতিল করলে সেটাও বাতিল বলে গণ্য হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই।রদ্দুল মুহতার(শামেলা):২/২৪১
আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৯৯

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য শে'ফা স্বরূপ নাযিল হয়েছে।বাহ্যিক ও অন্তর্গত সকল বিষয়ে কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য কল্যাণকর। 
কুরআনে কারীম যেভাবে একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে। ঠিকতেমনি বাহ্যিক অসুস্থতাকে সুস্থতায় পরিণত করে দিতেও পারে।
কুরআনে কারীম মূত্যুর পরও কাজ দিবে।অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমে তেলাওয়াতকারীকে করব জগতের আ'যাব থেকে রক্ষা করবে।
মোটকথাঃ
ঈসালে সওয়াব(কাউকে সওয়াব পৌছিয়ে দেয়া) হিসেবে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা যাবে।তবে এক্ষেত্রে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না।তবে হ্যা দুনিয়াবি প্রয়োজন হিসেবে চিকিৎসা স্বরূপ বিনিময়ের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোনো বিশেষ সূরা পড়া যাবে।এক্ষেত্রে অনুমোদন রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যিনি খতম পড়ে সওয়াব পৌছাবেন,তিনিও সওয়াব পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...