ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহিম।
জবাব,
https://ifatwa.info/47223/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা
হয়েছে যে,
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ
وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ
وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم
مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي
حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا
دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ
مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ
ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা
তোমাদের সে মাতা, যারা
তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের
সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে
সহবাস না করে থাক, তবে
এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে
একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু
যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا
مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۖ كِتَابَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ ۚ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا
وَرَاءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ
مُسَافِحِينَ ۚ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ
فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ
الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের
জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের
দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের
জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে
তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে
তোমরা ভোগ করবে, তাকে
তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে
সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, ও প্রজ্ঞাবান। (সূরা নিসা-২৩-২৪)
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ
এই আয়াতের অর্থ হল, ঐ সমস্ত নারীদের বিয়ে করা হারাম যাদের
স্বামী রয়েছে। (বাগাবী)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
বিবাহিত কোন নারীর জন্য তালাকের পূর্বে অন্য কোন পুরুষের সাথে বিবাহের উদ্দেশ্যে
বায়োডাটা দেওয়া জায়েয হবে না। কারণ, তিনি একজনের বিবাহিতা স্ত্রী। যেই
মহিলার স্বামী রয়েছে, সেই মহিলাকে বিয়ে করা হারাম। এবং এমনকি এমন বিয়ে বিশুদ্ধ হবে
না। এই রকম হারাম কাজে সকল প্রকার সহযেগিতা হারাম।
তাছাড়া এমন পরিস্থিতিতে বায়ো দিতে গিয়ে
সাধারণত অনেক মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে যা সম্পুর্ণ হারাম। তবে উক্ত বোন তালাক প্রাপ্তা
হওয়ার পরে ইদ্দত সম্পূর্ণ করে ম্যাট্রোমনিতে বায়োডাটা সাবমিট করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
তবে উক্ত বোনের জন্য বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের
কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা উচিত। ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির
মোকাবেলা করার চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য তাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন ইনশাআল্লাহ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে ক্লিক করুন- https://ifatwa.info/7797/