আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
১. আমি বড় পেরেশানিতে পরেছি শায়েখ, আমার বউ এর একাধিক আইডি আছে। ৩ টা, মাঝে মাঝে এগুলো থেকে মজা করে নক দিতো আমিও মজা করতাম।  আজকে হঠাৎ সন্দেহ হচ্ছে যে, সে একটি আইডি থেকে নক দেওয়ায় আমি হয়তো তাকে এভাবে বলে ফেলেছিলাম যে "আমি আগের জনকে ছেড়ে দিছি এখন থেকে তুমি আমার সব" বা "আমি আমার বউকে চেরে দিছি" এই ধরনের কোনো কথা বলেছি। এটা শুধুই সন্দেহ হচ্ছে যেহেতু এসব বলে মজা করতাম, কিন্তু এভাবে বলেছি কখনো এমনটা মন সায় দেয় না, আর   বললেও এগুলো বিয়ের আগে বলেছি বলে মনে হয়। এভাবে  সন্দেহ শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই খুব অশান্তির মাঝে আছে। এই সমস্যা আমার আগে ছিলো, ফলে আমি আমাদের সব পুরাতন চ্যাট গুলো ডিলেট করে দিয়েছিলাম, আজকে সেগুলো পাই নাই, তাই এগুলো রিকোভার করার চেষ্টা করছি, কিন্তু বউএর কাছে থাকলেও তাকে বলতে লজ্জা করছে, কিছু দিন আগেও একটা সন্দেহ থেকে তার মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছিলাম কিন্তু সেরকম কিছুই পাই নি, আবার এরকম করতে আমার মন মানছে না, লজ্জাও লাগছে।
এখন আমার কি করনীয় শায়েখ আমাকে একটি বুদ্ধি দিন, ম্যাসেজ গুলো রিকোভার করে কি দেখতে হবে???
(আমার মন সায় দেয় এমন কিছু বলি নি, বললেও বিয়ের পরে বলি নি, কিন্তু সন্দেহের বশে বারবার বিপরীত টাও মনে হয়...)

২. এরকম সন্দেহ মাথায় সামনে যদি আরো আসে কি করবো?

৩.ওয়াটসাপে কথা বলার সময়, আমাী স্ত্রী আমাকে বললো " তুই আমারে মুক্তি দে,কদিন পরপর এইসব জ্বালা ভালো লাগে না" তখন আমি জবাবে একটি লাইন লেখি" আচ্ছা বউ, তুমি বলো তো, আমি তোমারে কি এমন বললাম।

এই ম্যাসেজ টাইপের সময় "আচ্ছা বউ" লিখে একটু থামি তখন মাথায় আসে, এভাবে লিখলে কি বউ এর মুক্তি দে কথার জবাবে আচ্ছা,বা সম্মতি চলে আসে? তখন মনে হলো আমি তো এই নিয়তে আচ্ছা বউ বলছি না তারপর সব লাইন লিখে সেন্ড করি। এর ফলে কি কোনো তালাক পতিত হয়েছে? যেহেতু এটা মজলিশ ছিলো..
(উল্লেখ্য আমি আচ্ছা বউ বলে ম্যাসেজ লিখা শুরু করেছিলাম, অনেক সময় আমরা মানুষকে প্রশ্ন করার সময়, আচ্ছা বলে প্রশ্ন শুরু করি না?যেমন, আচ্ছা স্যার এটা কিভাবে হলো, আচ্ছা হুজুর এটা জায়েজ কি না, এই নিয়তে আচ্ছা লিখা)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
كَمَا  لَوْ أَقَرَّ بِالطَّلَاقِ هَازِلًا أَوْ كَاذِبًا فَقَالَ فِي الْبَحْرِ، وَإِنَّ مُرَادَهُ لِعَدَمِ الْوُقُوعِ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ عَدَمُهُ دِيَانَةً، ثُمَّ نَقَلَ عَنْ الْبَزَّازِيَّةِ وَالْقُنْيَةِ لَوْ أَرَادَ بِهِ الْخَبَرَ عَنْ الْمَاضِي كَذِبًا لَا يَقَعُ دِيَانَةً، وَإِنْ أَشْهَدَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يَقَعُ قَضَاءً أَيْضًا. اهـ. 
অনুরুপ ভাবে যদি স্বামী মিথ্যা বা তামাশা মূলক তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে বাহরুর রায়েক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে এটি দিয়ানাতান তথা আল্লাহর নিকট তালাক বলে গন্য হবে না।
,
অতঃপর বাযযাযিয়া ও ক্বুনয়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, যদি এই মিথ্যা স্বীকারোক্তি দ্বারা অতীতের তালাকের খবর স্বামী দেয়,তাহলে দিয়ানাতান (আল্লাহর নিকট) তালাক হবে না। 
(কাযা'আন তালাক হবে।)

কিন্তু যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির পূর্বে স্বামী এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখে, তাহলে  কাযা'আনও (তথা কাযী সাহেবের নিকট তালাক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মূহুর্তেও) তালাক হবে না।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৩৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি যদি বলেও থাকেন যে,
 "আমি আগের জনকে ছেড়ে দিছি এখন থেকে তুমি আমার সব" বা "আমি আমার বউকে চেরে দিছি" 

এই ধরণের কথা দ্বারা কোনো তালাক হবে না।

(২) এই রকম সন্দেহ মাথায় আসলেও কোনো পাত্তা দিবেন না।এগুলো দ্বারা তালাক হবে না।

(৩) আচ্ছা বউ বলার সাথে সাথেই যেহেতু আপনি বলেছেন, "তুমি বলো তো, আমি তোমারে কি এমন বললাম।" তাই কোনো তালাক হবে না। কেননা আচ্ছা শব্দ টা কথার কথা বা কথার সূচনা হিসেবে গণনা করা হবে। তালাকের আবেদনকে গ্রহণ করে তালাক প্রদান গণনা করা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...