ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নে বর্ণিত গানগুলো ঈমান বিধ্বংসী। সুতরাং এগুলো যদি আপনি অতিতে বলে থাকেন, তাহলে কালেমা পড়ে ঈমান নবায়ন করে নিবেন।
(২) যেহেতু এখানে আপনি ইসলামের মৌলিক কোনো বিষয়কে অস্বীকার করছেন না এবং কুফরি কোনো বাক্যকেও উচ্ছারণ করছেন না, তাই আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি এমন কাজ করে কবিরা গোনাহ করেছেন। আপনি তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন।এবং কা'যা নামাযগুলো পড়ে নিবেন।