بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/6485/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাক্বদীর শব্দটির
অর্থ নির্ধারণ করা বা অনুমান করা।শারঈ পরিভাষায় তাক্বদীর হল, আল্লাহ কর্তৃক
বান্দার ভবিষ্যত নির্ধারণ করা।
তাকদীর বিষয়ক দুয়েকটা আয়াত ও হাদীস লক্ষণীয়........
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ
ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ
- ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ
ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন
সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ
মুসলিম, মিশকাত
হাদীস নং/৭৯)।
একদিন ছাহাবায়ে কেরাম তাকে কেবল তাক্বদীরের উপর ভরসা করে সকল
আমল ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা সৎকর্ম করে যাও। কেননা যাকে যেজন্য
সৃষ্টি করা হয়েছে, তার
পক্ষে সে কাজ সহজসাধ্য হবে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য
সেরূপ আমল এবং যারা দুর্ভাগাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য সেরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে।(বুখারী
হা/৪৯৪৯)।
তাক্বদীর সম্পূর্ণ গোপনীয় বিষয়।আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং তাক্বদীরের
জ্ঞান তাঁর সৃষ্টিকুল থেকে গোপন রেখেছেন।এজন্য রাসূল (ছাঃ) এ প্রসঙ্গে অহেতুক বিতর্কে
জড়িয়ে পড়তে নিষেধ করেছেন।(তিরমিযী,ইবনে মাজাহ,মিশকাত হা/৯৮)
আল্লাহ তাক্বদীরের মন্দকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন।তিনি তাক্বদীরের
ভাল-মন্দকে ইচ্ছা করলে মিটিয়ে দিতে পারেন এবং বহালও রাখতে পারেন। (রা‘দ ৩৯)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ পাপকর্মের কারণে রূযী থেকে বঞ্চিত
হয়। দো‘আর মাধ্যমে তাক্বদীর পরিবর্তন হয় এবং নেকীর মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধি পায়(নাসাঈ, ইবনু মাজাহ,হা/৪৯২৪; মিশকাত হা/৪৯২৫)।
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় জীবিকায় প্রশস্ততা ও মৃত্যুতে বিলম্ব কামনা
করে, সে
যেন আত্মীয়-স্বজনের সাথে উত্তম ব্যবহার করে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯১৮)।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺃَﻥ
ﻟَّﻴْﺲَ ﻟِﻠْﺈِﻧﺴَﺎﻥِ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﺳَﻌَﻰ
বান্দা কেবল সেটাই পায়, যেটার জন্য সে চেষ্টা করে। (সূরা আন-নাজম
৫৩/৩৯)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সবকিছু আল্লাহর হুকুমে হয়। তিনিই একমাত্র অদৃশ্যের ইলম রাখেন।
কে কখন জন্ম গ্রহণ করবে বা ইন্তেকাল করবে? কে
কত দিন বাঁচতে পারে? কার সন্তান কেমন হবে? ইত্যাদী এসকল
বিষয় আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কেউ জানে না।
বিধায় রাশি কে বিশ্বাস করা যাবে না। এটা কুফরী আকিদা। সুতরাং
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে তাদের নিকট যাওয়া জায়েজ নেই এবং এজাতীয় সাইটগুলো ব্যবহার বা ভিজিট
করাও জায়েজ নেই। কেননা,
যেকোনো সময় শয়তান ধোঁকা দিতে পারে।