আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,,
১/শায়েখ  আমার হায়েজ হয়েছে ২৮ তারিখ সকাল ৯.০০ টায় আজকে ৫ তারিখ ৯.০০ টায়, ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে। এরপর আমি ১১.০০ টায় ফরজ গোসল করি। কিন্তু যোহরের সময় হালকা লালচে রং এর সাদাস্রাব হয়। এবং বাইরে বেরিয়ে আসে। কাগজ দিয়ে চেক করেছিলাম সাদা কাগজ লালচে হয়ে গেছিলো। এখন এটা কি আমি হায়েজ হিসেবে ধরবো নাকি সাদাস্রাব হিসেবে ধরবো।
প্রত্যেকবারই হায়েজ এর সপ্তম দিন পূর্ণ হওয়ার পর যখন সাদাস্রাব হয় তখন সাদাস্রাব এর রং পুরোপুরি সাদা না হয়ে কিছুটা লালচে বা কালচে রং এর হয়। এরকম সন্দেহের মধ্যে থাকি বলে হায়েজ শেষ হওয়ার দিন তে ফরজ গোসল করিই আবার পরের বেশ কয়েদিন যাবৎ ফরজ গোসল করি। আর নামাজ তো সপ্তম দিন পূর্ণ হওয়ার পরই ফরজ গোসল করে পড়া শুরু করি। এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কি সপ্তম দিনে ফরজ গোসল করে নামাজ পড়া শুরু করবো নাকি একদম সাদা রং এর সাদাস্রাব আসা পর্যন্ত আরো কিছু সময় অপেক্ষা করবো?? অনেক সময় ব্লিডিং হয় না তবে সাদাস্রাব আসতেও দেরি হয় তখন হায়েজ শেষ ধরেই গোসল করি। এখন আমি কি সপ্তম দিন হায়েজের শেষ দিন ধরবো নাকি অষ্টম দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো???

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সপ্তম দিন যখন ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যাবে,তখন আপনি গোসল করে পবিত্র হয়ে যাবেন,এবং নামায পড়া শুরু করে দিবেন।আবার যখন রক্তস্রাব আসবে,তখন আপনি হায়েয ধরে নিয়ে নামায থেকে বিরত থাকবেন।আবার যখন রক্তস্রাব বন্ধ হবে,তখন ফরয গোসল করে পবিত্র হয়ে নামায পড়া শুরু করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 187 views
0 votes
1 answer 233 views
–1 vote
1 answer 220 views
...