জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
দলিলঃ
সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)
* উত্তরাধিকার বন্টনের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী দূরবর্তীর উপর প্রাধান্য পাবে। হাদীস শরীফে আছে :
عن ابن عباس رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : الحقوا الفرائض بأهلها، فما بقي فهو لأولى رجل ذكر.
‘‘যাবিল ফুরুযের (কুরআনে যাদের অংশ নির্ধারিত তাদের) অংশ তাদেরকে দিয়ে দাও। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা সবচেয়ে নিকটবর্তী পুরুষ আত্মীয় পাবে।’’-সহীহ বুখারী ৬৭৩৫
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরে উল্লেখিত দলিলের কারনে মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
এক্ষেত্রে এতিমের ভরনপোষণ এর দায়িত্ব শরীয়তের আইন অনুসারে এতিমের মা ও চাচাদের উপর বর্তাবে।
তার ভরনপোষণ এর খরচের এক ভাগ মা দিবে,আর বাকি দুই ভাগ চাচারা দিবে।
তবে এতিমের মায়ের কাছে যদি প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ না থাকে,তাহলে তাকে এতিমের ভরনপোষণ এর জন্য টাকা দিতে হবেনা।
এক্ষেত্রে তার ভরনপোষণ এর পুরো টাকা তার চাচারা দিবে।
যদি মা চাচা কেহই টাকা না দেয়,সেক্ষেত্রে যেহেতু তারা শরীয়তের বিধান মানছেননা,তাই এক্ষেত্রে প্রচলিত দেশীয় আইনের সহায়তা নিতে হবে।
(০২)
ভাই থাকলে ভাইয়ের ছেলেরা সম্পদ পায়না।
কোনো ভাই জীবিত না থাকলে সেক্ষেত্রে ভাইয়ের ছেলেরা সম্পদ পায়।
এটিই শরীয়তের আইন।
যেখানে কোনো যুক্তি,কিয়াস চলবেনা।
(৩.৪)
ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।
(০৫)
বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।
(০৬)
সেখানে চাকুরী করা জায়েজ আছে।
(০৭)
তার জন্য ঋণ শোধ করা বেশি জরুরী।
(০৮)
পারবে।
(০৯)
যদ কুফরি বাক্য না পড়ে,বরং বৈধ কালাম পরে ফুক দেয়া হয়,তাহলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে তাহা ব্যবহার জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।
(১০)
আপনি কয়টা পর্যন্ত সাহরি খেয়েছেন,আর কয়টায় আযান হয়েছে,বিষয়টি স্পষ্ট আকারে বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে।
(১১)
ওয়ালি ছাড়াও তার বিয়ে শুদ্ধ হবে।
(১২)
আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর মাহরাম।
নিজের নানা/দাদার ভাই মাহরাম।
নানা শ্বশুর এর ভাই মাহরাম নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(১২)
না,মাহরাম নয়।