আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১.দাদার আগে বাবা মারা গেলে দাদার সম্পত্তি থেকে কোনো ভাগ পাই না । বর্তমানে তো বাবা মারা গেলে দাদা/চাচা রাও দায়িত্ব নেই  না।দাদার বাসায় থাকতেও দেই না।আবার নানা বাড়িতেও দায়িত্ব নেই না। নানা নিলে শুধু মা এর দায়িত্ব নেই।এই অবস্থায় মা আর বাচ্চারা অসহায় হয়ে পরে ।এমন অবস্থায় কি করা যায়?কেনো বাবা আগে মারা গেলে দাদার সম্পত্তি পাওয়া যাবে না?

২. কারো যদি ছেলে সন্তান না থাকে তাহলে সম্পত্তির ভাগ ভাই/ভাই এর ছেলে পাই।কিন্তু কেনো? ভাই/ভাই এর ছেলেরা কোনো দায়িত্ব নেই না,খোঁজ রাখে না কিন্তু সম্পত্তি ভাগের সময় ঠিক উপস্থিত হয়।ভাই/ভাই এর ছেলেদের কোনো দায়িত্ব কি থাকে যে তাদের ভাগ দিতে হয়?

৩. হাসব্যান্ড কে বলেছি ক্ষুদা লাগছে।

হাসব্যান্ড:  ভাত আছে/ভাত খাও

আমি: আমি ভাত(এইটুকু বলার পর মনে হলো হাসব্যান্ড এর ভাত না খাওয়া মনে ডিভোর্স হওয়া) তারপর চোখ ছোট ছোট করে বলি "খাবো না"।(এমন টা করেছি ৯০% সিউর)

এইটা কি কেনায় বাক্য ধরা হবে?বিয়ের কি ক্ষতি হবে?
এমনকি খাবো না যখন লিখছিলাম মনে হচ্ছিল হাসব্যান্ড এর ভাত খাবো না।আমি ইচ্ছা করে এমন ভাবি নাই।লিখার সময় অচেতন ভাবে মনে হয়েছে।এইটা তেও কি সমস্যা হবে?

৪. আমি ইদানিং কথা ভুলে যাচ্ছি আর মাঝে মাঝে কেনায় বাক্য নিয়ে আমার ওয়াসওয়াসা আসছে(আসার আরো কারণ কাবিননামায় ১৮ নম্বরে হা দিয়া আছে)।মাঝে মাঝে এমন হচ্ছে যে কথা বলছি/কিছু ভাবছি দিয়ে মনে হচ্ছে কেনায় বাক্য বললাম নাতো।কিন্তু আমার মনে নাই আমি এমন কিছু বলেছি নাকি।একবার মনে হয় হয়তো কেনায় বাক্য বলেছি আরেকবার মনে হয় না বলিনি।এমন অবস্থায় কি করা যায়?কারণ আমার তো মনে থাকছে না । যদি কেনায় বাক্য বলেও ফেলি আমার তো মনে থাকছে না কি বলেছি না বলেছি।আমাদের বিয়ের কি সমস্যা হবে?

৫. আমার বিয়ের ওয়ালি ছিলো আমার চাচা।কাজী বিয়ে পড়াচ্ছিলেন আর চাচা চুপ করে শুনছিলেন।দিয়ে কাজী আমার থেকে অনুমতি নেই তারপর আমার হাসব্যান্ড থেকে।এইভাবে তো ঠিক আছে বিয়ে পড়ানো ?

৬. আমার হাসব্যান্ড যে কোম্পানিতে চাকরী করে তাদের একটি প্রোডাক্ট ডেটল।শুনলাম ডেটল ইসরাইলকে সাহায্য করে।আমার হাসব্যান্ড কি আর এই কোম্পানিতে চাকরি করা ঠিক হবে? আবার প্রাণ এর পণ্য কাদিয়ানীদের ।সেইখানে চাকরি করা ঠিক হবে? স্কয়ার খ্রিস্টান মিশনারীদের(আমি স্কয়ার এর ব্যাপারে ঠিক জানি না) তাহলে এইখানেও চাকরি করা কি ঠিক??

৭. কুরবানী ফরয না।এমন কারো উপর কুরাবনি দিয়া নাকি ঋণ শোধ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

৮. আমার পরিচিত একজন আংকেল ঋণ নিয়েছে বাড়ি করার জন্য।কিন্তু ঋণ আংকেল এর ছেলে শোধ করছে। সম্পূর্ণ ঋণ শোধ করতে সময় লাগবে অনেক।আংকেল এর ছেলে কি কুরবানী দিতে পারবে?

৯.আমাদের এইখানে অনেকে প্রথম বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেলে মনে করে যে পরের বাচ্চা গুলাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।তাই পাট পড়া নেই।ব্যাপার টা ঠিক মনে হয়নি আমার কাছে।তাদের কি করে বুঝবো সেই ব্যাপারে বললে একটু ভালো হতো।

১০. না জানার জন্য এতদিন ফজরের আজান দিয়া পর্যন্ত সেহেরী করেছি।তাহলে তো রোজ গুলা হয়নি।অনেক বেশি রোজা থেকে যাচ্ছে তাহলে।এইগুলা কি পুনরায় আদায় করতে হবে?

১১. বিধবা মহিলার বিয়ের জন্য কি ওয়ালি দরকার?ওয়ালি ছাড়া কি বিয়ে শুদ্ধ হবে না?

১২. নানা শশুর,নানা শশুরের ভাই,নানা দাদার ভাই কি মাহরাম?

১৩. আমার সৎ বাবার মা কি আমার হাসব্যান্ড এর মাহরাম?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
দলিলঃ
সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)

* উত্তরাধিকার বন্টনের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী দূরবর্তীর উপর প্রাধান্য পাবে। হাদীস শরীফে আছে :
عن ابن عباس رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : الحقوا الفرائض بأهلها، فما بقي فهو لأولى رجل ذكر.
 ‘‘যাবিল ফুরুযের (কুরআনে যাদের অংশ নির্ধারিত তাদের) অংশ তাদেরকে দিয়ে দাও। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা সবচেয়ে নিকটবর্তী পুরুষ আত্মীয় পাবে।’’-সহীহ বুখারী ৬৭৩৫

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরে উল্লেখিত দলিলের কারনে মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।

এক্ষেত্রে এতিমের ভরনপোষণ এর দায়িত্ব শরীয়তের আইন অনুসারে এতিমের মা ও চাচাদের উপর বর্তাবে।
তার ভরনপোষণ এর খরচের এক ভাগ মা দিবে,আর বাকি দুই ভাগ চাচারা দিবে।

তবে এতিমের মায়ের কাছে যদি প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ না থাকে,তাহলে তাকে এতিমের ভরনপোষণ এর জন্য টাকা দিতে হবেনা।
এক্ষেত্রে তার ভরনপোষণ এর পুরো টাকা তার চাচারা দিবে।

যদি মা চাচা কেহই টাকা না দেয়,সেক্ষেত্রে যেহেতু তারা শরীয়তের বিধান মানছেননা,তাই এক্ষেত্রে প্রচলিত দেশীয় আইনের সহায়তা নিতে হবে।

(০২)
ভাই থাকলে ভাইয়ের ছেলেরা সম্পদ পায়না।
কোনো ভাই জীবিত না থাকলে সেক্ষেত্রে ভাইয়ের ছেলেরা সম্পদ পায়।

এটিই শরীয়তের আইন।
যেখানে কোনো যুক্তি,কিয়াস চলবেনা।

(৩.৪)
ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।

(০৫)
বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

(০৬)
সেখানে চাকুরী করা জায়েজ আছে।

(০৭)
তার জন্য ঋণ শোধ করা বেশি জরুরী। 

(০৮)
পারবে।

(০৯)
যদ কুফরি বাক্য না পড়ে,বরং বৈধ কালাম পরে ফুক দেয়া হয়,তাহলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে তাহা ব্যবহার জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।

(১০)
আপনি কয়টা পর্যন্ত সাহরি খেয়েছেন,আর কয়টায় আযান হয়েছে,বিষয়টি স্পষ্ট আকারে বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে।

(১১)
ওয়ালি ছাড়াও তার বিয়ে শুদ্ধ হবে। 

(১২)
আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর মাহরাম।
নিজের নানা/দাদার ভাই মাহরাম।

নানা শ্বশুর এর ভাই মাহরাম নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(১২)
না,মাহরাম নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
হুজুর ৩,৪ নম্বর প্রশ্ন আমার ওয়াসওয়াসা থেকে আসছে।তাহলে আমার বিয়ের কোনো অসুবিধা হয়নি? আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এইসব নিয়ে আর না ভাবতে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...